সাগরদীঘিতে হার কেন ? কারণ খুঁজতে ৫ সংখ্যালঘু নেতার কমিটি গড়লেন মমতা 

কলকাতা, ৬ মার্চ – সাগরদীঘির মত  তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে কিভাবে হারল দল, রিপোর্ট চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সাগরদীঘির পরাজয়ের পর সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই হারের প্রকৃত কারণ জানতে চান।

সোমবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। তার পরে দলের পাঁচ সংখ্যালঘু নেতাকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মমতা। গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গোলাম রাব্বানী ও জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন তাঁর ঘরে যান। সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই কমিটিকে সাগরদিঘি ভোটের বিপর্যয় নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। সঙ্গে গোটা রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পাঁচ মন্ত্রীকে দ্রুত কাজে নামতে বলেছেন বলেই সূত্রের খবর।

এই কমিটিকে প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য রাজ্যের দুই মন্ত্রীকেও দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। তাঁরা হলেন, ফিরহাদ হাকিম ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই কমিটিতে রাখা হয়নি জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানকে। তবে জায়গা পেয়েছেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির।

বৃহস্পতিবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের কাছে ২২,৯৮০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে ৫০ হাজার মার্জিনে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই আসনে ৬৮ শতাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু।এই কারণেই উপনির্বাচনের ফলাফল শাসকদলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।