দিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর– কার হাতে যাবে দল তাই এখন চিন্তার বিষয় বিজেপি নেতৃত্বের। কারণ রাজ্যস্তর থেকে উঠে আসছে না নতুন কোনও নাম। অথচ সামনেই একাধিক রাজ্যের নির্বাচন। যা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কপালে। বর্তমানে বিজেপির রাশ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির মত প্রবীণ নেতাদের হাতে। তাদের পরেই আবার প্রথম সারিতেই রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার মতো নেতারা। এঁরা রাজ্যস্তরে থাকলেও জাতীয় রাজনীতির আঙিনাতেও তাঁদের সমান গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু এঁদের পরে কারা ? এই প্রবীণ নেতাদের নাম বাদ দিলে আর কাউকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না ভবিষ্যৎ বিজেপির কামান সামলানোর জন্য।
দেশের হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্য বাদ দিলে তেমনভাবে কোনও নেতাই নেই বিজেপিতে যাঁকে লোকে একডাকে চেনে। অথচ আগামী বছরের শুরু থেকেই কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে বিধানসভা ভোট রয়েছে। এই তিন রাজ্যে যথাক্রমে ইয়েদি, চৌহান, রাজে ছাড়া কোনও মুখেরই তেমন পরিচিতি নেই। এমনকি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নিজের রাজ্যের বাইরে তেমন পরিচিতি নেই। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতা হিসেবে ধরা চলে।
তবে জনপ্রিয়তার নিরিখে নিজের রাজ্য তো দূর অস্ত, এলাকাতেই সেভাবে প্রভাব নেই তাঁর। দ্বিতীয় সারিতে থাকা আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিমাচল প্রদেশের নেতা অনুরাগ সিং ঠাকুরের অবস্থাও তথৈবচ। সদ্য হিমাচল বিধানসভা ভোটে তাঁর বাড়ি যে বিধানসভা কেন্দ্রে সেই হামিরপুর তো বটেই, এমনকি তাঁর নিজের বুথেও বিজেপি হেরেছে। দলে দ্বিতীয় সারির নেতাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, ভূপেন্দ্র যাদব, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতরা রয়েছেন বটে। তবে এঁদের রাজ্যস্তরে প্রভাব সীমিতই। এর বাইরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ , মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ছাড়া চোখে পড়ার মতো নেতা প্রায় নেই।