• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

হৈমন্তী কোথায়? মা বলছেন ‘মরে গেছে’

হাওড়া,২৪ ফেব্রুয়ারি — হৈমন্তী কোথায়? এই প্রশ্নের জবাব শুক্রবার বেলা পর্যন্ত কারও কাছেই নেই। গোয়েন্দা সংস্থার স্ক্যানারে এখন নতুন নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়।  বৃহস্পতিবার আলিপুর কোর্ট থেকে জেল হেফাজতে যাওয়ার সময়ে  যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন হৈমন্তীর নাম।  নিয়োগ  তিনি গোপাল দলপতির স্ত্রী। হাওড়ার এই মেয়ে কীভাবে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ল, সেটাই এখন লাখ

হাওড়া,২৪ ফেব্রুয়ারি — হৈমন্তী কোথায়? এই প্রশ্নের জবাব শুক্রবার বেলা পর্যন্ত কারও কাছেই নেই। গোয়েন্দা সংস্থার স্ক্যানারে এখন নতুন নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। 

বৃহস্পতিবার আলিপুর কোর্ট থেকে জেল হেফাজতে যাওয়ার সময়ে  যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন হৈমন্তীর নাম।  নিয়োগ  তিনি গোপাল দলপতির স্ত্রী। হাওড়ার এই মেয়ে কীভাবে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ল, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এরই মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রর সঙ্গে তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আসায় নতুন মাত্রা পেয়েছে।

হৈমন্তীর বাড়ি হাওড়ার উত্তর বাকসাড়ায়। তিন তলা বাড়ি। ওই বাড়িতেই থাকেন তাঁর বাবা, মা, ছোট বোন। কিন্তু হৈমন্তী? আশাপাশের লোকজন বলছেন, দিন দশেক আগেও একটি বিলাসবহুল গাড়িতে চেপে বাকসাড়ার এই বাড়িতে এসেছিলেন হৈমন্তী।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে মেয়ের ব্যাপারে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন তাঁর মা।মায়ের পরনে একটা ছাপা শাড়ি। গায়ে জড়ানো আঁচল। সেই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বললেন, ‘ও আর নেই। আমার কাছে ও মরে গেছে। ওদের কারও সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই।’

জানা গিয়েছে, গোপাল দলপতির সঙ্গে এই হৈমন্তীর বিয়ে হলেও বছর তিনেক আগে ডিভোর্স হয়ে যায়। কুন্তল দাবি করেছেন, হৈমন্তীর কাছে নিয়োগ দুর্নীতির বিরাট অঙ্কের টাকা পৌঁছেছিল।

মডেলিং করতেন হৈমন্তী। তাঁর প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, হৈমন্তীর বাবা-মা এলাকায় বলতেন মেয়ে সিরিয়াল, সিনেমা করেন। গভীর রাত পর্যন্ত বাকসাড়ার বাড়ির সামনে বিলাসবহুল সব গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকত বলেও দাবি স্থানীয়দের।

ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, হৈমন্তী মুম্বইয়ে একটি সংস্থা চালাতেন। ডালহৌসিতেও তাঁর একটি অফিস রয়েছে। যদিও তা এখন তালাবন্ধ। কুন্তল দাবি করেছেন, উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার পিএ-এর অ্যাকাউন্ট থেকে গোপাল দলপতির অ্যাকাউন্টে ৩৯ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল। সেই টাকা গোপাল ট্রান্সফার করেছিলেন হৈমন্তীর সংস্থার অ্যাকাউন্টে।

প্রতিবেশীরা বলছেন, হৈমন্তীর জীবন যাপন ছিল আড়ম্বরপূর্ণ। কিন্তু তাঁর পরিবারের বাকিরা থাকতেন সাধারণভাবে। এও জানা যাচ্ছে, হৈমন্তী ওই বাড়িতে গিয়ে আলাদা করে দোতলায় নিজের ঘরে থাকতেন। আবার বেরিয়ে যেতেন। এখন সিবিআইয়ের নজরে তিনিই। কবে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় এখন সেটাই দেখার।