দিল্লি, ১৪ অক্টোবর– বিভিন্ন রাজ্যে একের পর এক বড় মাপের নেতাদের দল ছাড়ায় যথেষ্ট বেকায়দায় কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব৷ তারপর বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল জনসমক্ষে চলে আসায় বিরক্ত দলের শীর্ষনেতৃত্ব৷ দলের নেতাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফেরাতে তাই এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা ও বি এল সন্তোষরা ৷
লোকসভা ভোট মিটলেই আর কোনও রেয়াত না করে বঙ্গ সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি দিল্লির হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নেতারা৷ সম্প্রতি শাখা সংগঠনের সভাপতি ও পরে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সিদ্ধান্তের বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ এবার থেকে বঙ্গের যাবতীয় সিদ্ধান্ত সরাসরি অমিত শাহ নেবেন বলেই হুইপ জারি করা হয়েছে৷ ভোটের পর রাজ্যের যে কোনও সিদ্ধান্ত সরাসরি পাঠাতে হবে অমিত শাহের কাছে, এমনটাই নির্দেশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের৷
লোকসভা ভোটের প্রার্থী বাছাই থেকে রণকৌশল কি হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে৷ তাই রাজ্য থেকে কোনও প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
গত সপ্তাহে বাংলা বিজেপির শাখা সংগঠনের সভাপতিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষনেতারা৷ তাঁদের একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানান এক শাখা সংগঠনের রাজ্য সভাপতি৷ তিনিই জানান, বাংলা থেকে এবার গতবারের থেকেও বেশি আসনের প্রত্যাশা রয়েছে অমিত শাহদের৷ কিন্ত্ত যেভাবে দলের কোন্দল রাস্তায় নেমে এসেছে তাতে অসন্ত্তষ্ট সংঙ্ঘের কর্তা থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা৷
৪২টি লোকসভা ধরে ধরে তিনি আলোচনা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন৷ ফলে রাজ্য থেকে কোনও নাম পাঠানোর প্রয়োজন নেই৷ কারণ অনেক সাংসদের কাজকর্মে অসন্ত্তষ্ট শাহ ও নাড্ডা ৷ প্রার্থী তালিকা থেকে তাঁদের ছেঁটে ফেলার প্রবল সম্ভবনা৷ তিনি জানান, বৈঠকে তাঁদের সেই ইঙ্গিত দেন দলের সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) বিএল সন্তোষ৷ এর দুদিন পরেই দিল্লিতে তলব করা হয় রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে৷ তাঁর কাছ থেকে পুজোয় জনসংযোগ বাড়াতে কী কী কৌশল নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান জে পি নাড্ডা৷