• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধের ডঙ্কা 

পিয়ংইয়ং , ২ সেপ্টেম্বর – লাগাতার মিসাইল উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার। গত কয়েকদিনে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার কড়া জবাব দিচ্ছে পিয়ংইয়ন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে কিমের দেশ। ফলে কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে কোরীয় উপদ্বীপ। যেকোনও সময় বাজতে পারে যুদ্ধের ডঙ্কা। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সূত্রে জানা

পিয়ংইয়ং , ২ সেপ্টেম্বর – লাগাতার মিসাইল উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার। গত কয়েকদিনে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার কড়া জবাব দিচ্ছে পিয়ংইয়ন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে কিমের দেশ। ফলে কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে কোরীয় উপদ্বীপ। যেকোনও সময় বাজতে পারে যুদ্ধের ডঙ্কা।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরে ‘ইয়েলো সি’তে একাধিক মিসাইল ছোঁড়ে উত্তর কোরিয়া। গোটা বিশ্বের উদ্বেগ বাড়িয়ে চলতি বছরে রেকর্ড হারে যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। পিয়ংইয়ংয়ের এত ঘনঘন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ একদমই ভাল চোখে দেখছে না দক্ষিণ কোরিয়া। ইতিমধ্যেই সিউল ও ওয়াশিংটনের বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। এগারো দিন ধরা চলা এই মহড়ার কড়া জবাব দিতে বিগত কয়েকদিনে একাধিকবার সাগরে মিসাইল ছুঁড়েছে কিমের দেশ।

প্রসঙ্গত, আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া জোটের সঙ্গে চিন ও উত্তর কোরিয়ার সংঘাত বহু দিনের। এর মাঝে এর মাঝে আগুনে ঘি ধালার মতো কাজ করেছে গত জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে মার্কিন নৌসেনার সাবমেরিনের প্রবেশ। এবং ওয়াশিংটন ও সিউলের যৌথ সামরিক মহড়া। ‘অস্তিত্ব সংকটে’র আশঙ্কায় আগেও বহুবার মিসাইল ছুঁড়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পিয়ংইয়ন।

উল্লেখ্য, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্রশস্ত্র ও মিসাইল তৈরি হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন সেদেশের সর্বাধিনায়ক কিম। নিজেই ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন অস্ত্র তৈরির কারখানা। গত ৯ আগস্ট ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের’বৈঠকে সেনাবাহিনীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কৌশলগত দিক থেকে ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকাই এখন উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য।