দার্জিলিং:- কাছেপিঠে কম খরচে পাহাড়ে যেতে চাইলে বাঙালির কাছে উত্তরবঙ্গই ভরসা। দার্জিলিংয়ের অফবিট একটি ডেস্টিনেশন জোড়পোখরি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। জোড়া হ্রদ নিয়ে গড়ে উঠেছে ছোট্ট গ্রাম জোড়পোখরি। যদিও জোড়পোখরির অন্যতম সৌন্দর্য লুকিয়ে জোড়পোখরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। ৪ হেক্টর জমিতে থাকা যমজ হ্রদও জোড়পোখরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অংশ। যেহেতু অভয়ারণ্য তাই এখানে বন্যপ্রাণীও দেখতে পাবেন। এখানে স্যালামান্ডার নামের এক ধরনের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির উভচর প্রাণী দেখা যায়। লেপচাজগতের খুব কাছে, দার্জিলিংয়ের ঠিক ওপর অবস্থিত জোড়পোখরি। দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরত্বে গড়ে উঠেছে জোড়পোখরি। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে জোড়পোখরি যেতে গেলে আপনাকে দুধিয়া, মিরিক হয়ে পৌঁছাতে হবে। জোড়পোখরিতে যেহেতু পর্যটকেরা খুব একটা রাত কাটান না, তাই এখানে হোম-স্টে, লজের সংখ্যা খুব সীমিত। জোড়পোখরিতে খুব বেশি পর্যটকদের আনাগোনা নেই। হ্রদকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এই পার্ক। সেখানেই পর্যটকেরা আসেন। কেউ কেউ আসেন পিকনিক করতে। এখানেই রয়েছে একটা ভিউ পয়েন্ট। জোড়পোখরিতে দাঁড়িয়ে মেঘ, কুয়াশায় ঘেরা দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের শহরের মোহময়ী দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়া ৭,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত জোড়পোখরি থেকে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে, বর্ষায় কাঞ্চনজঙ্ঘা বা দার্জিলিংয়ের কোনও দৃশ্য চোখে পড়বে কি না তা বলা মুশকিল। যদিও বছরের বেশিরভাগ সময় কুয়াশায় ঢাকা থাকে জোড়পোখরি। শিলিগুড়ি থেকে জোড়পোখরি যাওয়ার রাস্তাও অদ্ভুত সুন্দর। ঘন সবুজ জঙ্গলের পথ বেরিয়ে চা বাগানের ঘেঁষে এগিয়ে যেতে হয়। দার্জিলিংয়ের যে কোনও পর্যটন কেন্দ্র থেকে আপনি ঘুরতে যেতে পারেন জোড়পোখরি। এমনকী জোড়পোখরি থেকেও ঘুরে নেওয়া যায় ঘুম, দার্জিলিং। যেতে পারেন মিরিক। উপরের দিকে গেলে পৌঁছে যাবেন পশুপতি নাথ মার্কেট, সীমানা বর্ডার। ভারত-নেপাল সীমান্ত জোড়পোখরি থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটারের রাস্তা।