কলকাতা:- সব পুজো প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাঙালির তো বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যে শীত দরজায় কড়া নাড়ছে। সপ্তাহান্তে ছুটি রয়েছে। কাজেই আর দেরি না করে বেড়িয়ে পড়ুন। পাহাড় যেতে ভয় পেলে অপেক্ষা করছে সমুদ্র সৈকত। কলকাতার একেবারে কাছেই। যদিও এই সৈকত প্রতিবেশী রাজ্যে রয়েছে। দিঘা-পুরী নয় কলকাতার কাছেই এই সৈকতের নাম বাগদা সৈকত। কলকাতা থেকে এই জায়গার দূরত্বও খুব বেশি নয়। এখানে পৌঁছতে হলে ট্রেনে চলে আসুন বালেশ্বরে। বালেশ্বর থেকে অটো নিয়ে আসতে হবে বাগদা সৈকতে। আবার নিজেদের গাড়িতেও আসা যায়। জানা গিয়েছে, বালেশ্বর থেকে বাগদা সৈকতে পৌঁছতে অটোয় ঘণ্টা দেড়েক সময় লাগে। একেবারে ঘরের কাছে সুন্দর নিরিবিলির একটা সৈকত। এখানে অনেক রিসর্ট রয়েছে। সৈকতের আরেকটা বিশেষত্ব এখানে প্রচুর কাজু বাদামের গাছ রয়েছে। কাজেই সমুদ্র সৈকত দেখার সঙ্গে সঙ্গে কাজু বাদাম কিনে নিয়ে যেতে পারেন। আবার এখানে গোয়ার মতো বাইক রাইডেরও ব্যবস্থা রয়েছে। সমুদ্র সৈকতে ঘোরার জন্য এখানে বাইক ভাড়া পাওয়া যায়। বাইকে করে চলে আসুন সমুদ্র সৈকতে। ঝাউবনের মধ্য দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে চলে আসুন বুড়িবালাম নদীর পাড়ে। নদীর বুকে নৌকা বিহারের ব্যবস্থা রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বুড়িবালাম নদীর সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামের যোগ রয়েছে। এই বুড়ি বালামের সঙ্গে বিপ্লবী বাঘাযতীনের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। এই বুড়িবালাম নদী পথ ধরেই নৌকায় করে পৌঁছে যাওয়া যায় সমুদ্রে। যেখানে নদী মিশেছে সমুদ্রে। অপূর্ব সুন্দর সেই জায়গা। নদী আর সমুদ্রের মহামিলন উপভোগ করতে করতে নৌকা বিহার করুন। বালির চড়ায় বসে থাকতে থাকতে অনেকটা সময় কেটে যাবে। সৈকত জুড়ে খেলা করে বেড়ায় লাল কাঁকড়ার দল। একটু পায়ের শব্দ পেলেই টুক করে বালির গর্তে লুকিয়ে পড়ে তারা। এখানে বাগদা সৈকতের বিস্তার ধুবলাগাড়ির থেকে একটু কম। সমুদ্রের পাড়ে অনেক বসার জায়গা করা রয়েছে। ছোট ছোট খড়ের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সৈকতগুলি। কারণ এখানে সমুদ্র অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। এখানে বসে দীর্ঘক্ষণ কাটিয়ে দিতে পারবেন।