বাংলায় বিমুখ বৃষ্টির উজাড় কৃপা উত্তরভারতে

দিল্লি, ১৫ জুলাই– আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, গোটা ভারতে স্বাভাবিক বর্ষার জন্য জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ১৩টি স্বল্পশক্তির নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কথা। এ বছর এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি হয়েছে। আর তাতেই একদিকে বৃষ্টি থামার নাম নেই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে। অন্যদিকে বাংলায় বৃষ্টি অল্পবিস্তর।

অনাবৃষ্টির কারণে ধানের চারা রোপনের কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে চালের উৎপাদন মার খাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। তবে দিল্লির আবহাওয়া বিজ্ঞানী ডি শিবানন্দ পাই জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। ২০ জুলাই নাগাদ সেটি পূর্ণতা পাবে। তার জেরে অনাবৃষ্টি কবলিত এলাকায় বর্ষা হতে পারে।

হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব এবং যমুনা লাগোয়া দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকার অবস্থা গত বছরের পাকিস্তানের মতো। পড়শি দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকা গত বছরের বন্যায় জলের তলায় ডুবে ছিল। সেই ক্ষতি থেকে এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। উত্তর ভারতের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও তেমনই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট সব মহলে।


অন্যদিকে, একই সময় পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে উল্টো চিত্র। অনাবৃষ্টির ফলে দেশের ওই অঞ্চলের ২৭০টি জেলা আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন যেখানে বৃষ্টির দেখা নেই । ফলে মাঝ জুলাইতেও ওই সব এলাকায় ধান রোয়ার কাজ শুরু করা যায়নি।

এই ২৭০ জেলার মধ্যে আছে বাংলার ১৩টি। বাকি রাজ্যগুলি হল, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, তামিলমনাড়ু, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড় এবং মহারাষ্ট্র। এই সব রাজ্যের ১৪৬টি বড় ও মাঝারি মাপের জলাধারগুলিতে ধারণ ক্ষমতার মাত্র ২৯ শতাংশ জল আছে।

এরফলে বাংলায় পুরুলিয়ায় ৭১, বাঁকুড়ায় ৬১, বিহারের সীতামারিতে ৭৩, পূর্ব চম্পারণে ৬১ এবং ওড়িশার কালাহান্ডিতে ৬৫ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যগুলিতে ২২ থেকে ৪৪ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে ৯, হরিয়ানায় ১০, হিমাচলে ১২, পাঞ্জাবে ১২, রাজস্থানে ২০ এবং গুজরাতের ১৬টি জেলায় প্রায় ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে।