• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভারত-কানাডা বিরোধে ‘উদ্বিগ্ন’ যুক্তরাষ্ট্র, বহিরাগত শক্তির উস্কানি, অভিযোগ মার্কিন বিশেষজ্ঞের 

ওয়াশিংটন, ২০ সেপ্টেম্বর – শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কানাডা ও ভারতের মধ্যে বিরোধ নিয়ে এবার মুখ খুলল আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের মুখপাত্র বলেছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগ গুরুতর। ভারতের উচিৎ কানাডা প্রশাসনের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করা। জো বাইডেন প্রশাসনের বিদেশ মন্ত্রকের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া মোটেই ভারতের পক্ষে স্বস্তিদায়ক নয় বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। 

ওয়াশিংটন, ২০ সেপ্টেম্বর – শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কানাডা ও ভারতের মধ্যে বিরোধ নিয়ে এবার মুখ খুলল আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের মুখপাত্র বলেছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগ গুরুতর। ভারতের উচিৎ কানাডা প্রশাসনের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করা। জো বাইডেন প্রশাসনের বিদেশ মন্ত্রকের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া মোটেই ভারতের পক্ষে স্বস্তিদায়ক নয় বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। 

যদিও ভারত ও কানাডার মধ্যে তৈরী হওয়া এই টানাপোড়েনে আমেরিকার প্রবেশ করা উচিত নয় বলে মনে করেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ মাইকেল রুবিন এই বিষয়টিতে জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হাতের পুতুল হিসেবে কাজ করার অভিযোগ তোলেন।  

কূটনৈতিক মহলের মতে, বাইডেন প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া আসলে কানাডার অভিযোগকে একপ্রকার  মান্যতা দেওয়ার সামিল। আমেরিকা অপর দুটি দেশের বিবাদ নিয়ে দূরত্ব তৈরি করতে চাইলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বলে দায়িত্ব সারতে পারত। কিন্তু ভারতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার, গণতন্ত্র হরণের ইস্যুতে সরব আমেরিকা বিতর্কের শুরুতেই কানাডার অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েছে ।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনে ভারতীয় এজেন্টের হাত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দেশের নিরাপত্তা সংস্থা। এই ব্যাপারে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁরা ভারতের সহায়তা চান বলেও সংসদে বলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ট্রুডোর এই মন্তব্যকে অনুমোদন করেছে মার্কিন প্রশাসন।

কানাডায় বিপুল সংখ্যক শিখ বসবাস করেন। তাদের বেশিরভাগই সে দেশের নাগরিক। মোদি  সরকারের অভিযোগ, কানাডায় থেকে খালিস্তানিরা ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। নিহত নিজ্জরের বিরুদ্ধে ভারতে খুনে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে ভারত সরকার। খালিস্তান টাইগার ফোর্স নামে ভারতে নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠনের কমান্ডার-ইন-চিফ নিজ্জর কানাডাতেই গত জুনে খুন হন। একটি গুরুদ্বার থেকে প্রার্থনা সেরে বের হওয়ার সময় মোটর সাইকেল আরোহী দুই ব্যক্তি তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে গা ঢাকা দেয়। কানাডার অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডে হাত আছে ভারতীয় এজেন্সির।
এদিকে মার্কিন বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ অভিযোগ করেছেন, কিছু বিদেশী শক্তি খালিস্তনি আন্দোলনকে উস্কানি দিচ্ছে।  তবে তাঁর মতে এই উস্কানিতে কাজ হবে না। তাঁর পরামর্শ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয় , বহিরাগত শক্তির উস্কানিতে হতক্ষেপ করা।  তাই এই বিষয় থেকে মার্কিন প্রশাসনের দূরে থাকায় শ্রেয় বলে মনে করেন ওই বিশেষজ্ঞ।   
 
এদিকে ‘শিখস ফর জাস্টিস’ ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুদের কানাডা ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এক ভিডিও  বার্তায় নিজ্জরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গুরপতওয়ান্ত পান্নুন জানিয়েছেন ‘ইন্দো হিন্দু কানাডা ছাড়ো। তোমরা ভারতে চলে যাও। তোমরা শুধু ভারতকে সমর্থন করছ এমনটাই নয়, তোমরা খালিস্তানপন্থীদের বাক স্বাধীনতাতেও আঘাত হানছ। ‘ এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই কানাডার ইন্দো কানাডিয়ান কমিউনিটি তথা সেখানকার হিন্দুদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। 
কানাডার ন্যাশনাল ডেইলি দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইলে অ্যান্ড্রিউ কয়নে জানিয়েছেন,দেশের মধ্যে শান্তি রাখা খুব দরকার। প্রচুর শিখ কানাডাবাসী রয়েছেন যাঁরা নিজ্জরের খুনের ঘটনায় বিচলিত।