এটা দুই দেশের মধ্যে অষ্টাদশতম সেনা মহড়া। আগেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য, দুই দেশের সেনাদের মধ্যে প্রশিক্ষণ, কৌশলের আদানপ্রদান। কিন্তু চিনা ভূখণ্ডের কাছে এই মহড়াকে ভালভাবে নিচ্ছে না বেজিং। ভারতে এসেছেন আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক এলিজাবেথ জোন্স। তিনি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ”এই মহড়া নিয়ে চিনের মন্তব্য প্রসঙ্গে আমি ভারতের বিবৃতিটাই পুনরাবৃত্ত করতে চাই। বলে দিচে চাই, এটা চিনকে মাথাব্যথা না করলেও হবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতও এই বিষয়ে একই মন্তব্য করেছিল। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এক সাপ্তাহিত সাংবাদিক সম্মেলনে চিনের মনোভাবের নিন্দা করে বলেছিলেন, ”আমি পরিষ্কার করে দিতে চাই অউলিতে মার্কিন সেনার সঙ্গে আমাদের যৌথ মহড়ার সঙ্গে ১৯৯৩ কিংবা ১৯৯৬ সালের চুক্তির কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু চিন যেহেতু এই নিয়ে আপত্তি তুলছে, তাই আমার মতে চিন ভেবে দেখুক তারা নিজেরাই এই চুক্তিভঙ্গ করছে কি না।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আগ্রাসনের সময় থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। বারবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেও পরিস্থিতির সুরাহা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ভারত-মার্কিন সেনার যৌথ মহড়াকে ঘিরে ফের বিতর্ক ঘনাল। যা বুঝিয়ে দিল, এই মহড়ায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে বেজিং।