লখনউ, ২৪ নভেম্বর– দিল্লিতে লিভ-ইন সঙ্গীর হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যার ঘটনার রেশ উত্তরপ্রদেশে।বুধবার ফের একইধরনের আরও একটি খুনের ঘটনা সামনে এল। আর এবারেও ঘটনাস্থল সেই যোগীরাজ্য। জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের বাসিন্দা এক মহিলাকে খুন করে দেহ কুচিকুচি করে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে তাঁর স্বামীই। গোটা ঘটনায় এলাকায় জোর আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে এর মাঝে পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুরে একইভাবে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছিল। দিল্লি-পশ্চিমবঙ্গ-উত্তরপ্রদেশকে যেন একই সুতোয় বেঁধে দিয়েছে এই খুনের ধরণগুলি। সূত্রের খবর, গত ৮ নভেম্বর সেরাজ্যের সীতাপুর জেলার রামপুর কালান এলাকা থেকে এক যুবতীর খণ্ড-বিখণ্ড দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহের একাধিক টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণে প্রথমে পুলিশ দেহ শনাক্ত করতে পারছি না। পরে জানা যায়, ওই মৃতদেহটি জ্যোতি ওরফে স্নেহা নামক এক যুবতীর। তাঁকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাঁরই স্বামীর পঙ্কজ মৌর্যের বিরুদ্ধে। পুলিশি জেরায় সে একাধিকবার বয়ান বদল করছিল বলে জানা গেছে। পরে নিজের মুখেই খুনের কথা স্বীকার করে পঙ্কজ।
জেরায় সে জানায়, নিজের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাহায্য নিয়েই স্ত্রী’কে খুন করেছে সে। তার দাবি, স্ত্রী স্নেহা ওরফে জ্যোতি নিয়মিত মাদক সেবন করত। এমনকী মাঝেমধ্যেই অন্যের বাড়িতে রাত কাটাত। এগুলি নিয়ে আগে বহুবার সে নিষেধ করেছিল, তবে কোনও কথাই শোনেনি স্ত্রী। এই নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুল বচসাও হয়েছে আগে। এরপর তাঁর সন্দেহ হয়, স্ত্রী’র অন্য কারও সঙ্গে নিশ্চয়ই সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই রাগেই তিনি স্ত্রী’কে খুন করেন। আর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে দেন।