• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শেষকৃত্যের টাকার অভাবে মায়ের মৃতদেহ বাড়িতে রেখেই পচাল ছেলে

লখনউ, ১৪ ডিসেম্বর– বাড়ি থেকে কয়েকদিন ধরে তীব্র দুর্গন্ধ নাকে আসছিল। সন্দেহ হতেই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে বাড়িতে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ! দেখা গেল, মৃতা মায়ের দেহ বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়ির ভিতরই লুকিয়ে রেখেছেন ছেলে । আর তা থেকেই বেরোচ্ছে পচা দুর্গন্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গুলরিহার শিবপুর-শাহবাজগঞ্জ এলাকায়। মৃতা মহিলার নাম শান্তিদেবী। ৮২ বছর

লখনউ, ১৪ ডিসেম্বর– বাড়ি থেকে কয়েকদিন ধরে তীব্র দুর্গন্ধ নাকে আসছিল। সন্দেহ হতেই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে বাড়িতে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ! দেখা গেল, মৃতা মায়ের দেহ বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়ির ভিতরই লুকিয়ে রেখেছেন ছেলে । আর তা থেকেই বেরোচ্ছে পচা দুর্গন্ধ।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গুলরিহার শিবপুর-শাহবাজগঞ্জ এলাকায়। মৃতা মহিলার নাম শান্তিদেবী। ৮২ বছর বয়সি ওই মহিলা একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁর ছেলের নাম নিখিল মিশ্র ওরফে ডাব্বু। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নিখিলের বাড়ি থেকে গত কয়েকদিন ধরেই পচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় বুধবার পুলিশে খবর দেন তাঁরা।

ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, পাঁচ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। নিখিলের দাবি, মায়ের শেষকৃত্য করার মতো টাকা ছিল না তাঁর কাছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, নিখিল মদ্যপ এবং মানসিক ভারসাম্যহীন। বাড়িতে ঠিক কী ঘটেছিল, কীভাবেই বা শান্তি দেবীর মৃত্যু হল, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারেননি নিখিল, জানিয়েছে পুলিশ।

সূত্রের খবর, নিখিল শান্তিদেবীর একমাত্র ছেলে। তিনি নিজেও বিবাহিত, একটি ছেলেও রয়েছে তাঁর। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত দুর্ব্যবহার করায় দিন পনেরো আগে ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান নিখিলের স্ত্রী।