দিল্লি, ২৪ সেপ্টেম্বর – ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্থায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু হলে একগুচ্ছ কেন্দ্রীয় সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে শনিবার এই সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি। ভারতের সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলে সারা বছরব্যাপী। রাস্তা সম্প্রসারণ সহ একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে নির্ভর করতে হয় অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিকদের উপর। তাঁর সিদ্ধান্ত, এক হাজার টাকার যে কেন্দ্রীয় সাহায্য এই শ্রমিকদের করা হত, সেই অঙ্ক বাড়িয়ে দশ হাজার টাকা করা হবে।
তাঁদের আরও কিছু সাহায্যের কোথাও ঘোষণা করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন-এর তরফে তাদের রিজার্ভ ইঞ্জিনিয়ার-সহ অনেক ক্ষেত্রেই অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ করতে হয়। কিন্তু সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ার সহ অস্থায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর কথা সামনে এসেছে। তবে কোন দুর্ঘটনার পরে ইঞ্জিনিয়ার সহ
বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন-এর অন্যান্য কর্মীদের ক্ষেত্রে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া এবং শেষকৃত্যর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করে থাকে। কিন্তু একই পরিস্থিতিতে সেই সহায়তা পান না অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিকরা। এবার অস্থায়ী শ্রমিকদের জন্য বড় ঘোষনা করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন-এর জেনারেল রিজার্ভ ইঞ্জিনিয়ার ফোর্স কর্মীদের মতোই এবার থেকে অস্থায়ী শ্রমিকদের দের জন্যেও হতে চলেছে ‘ মরদেহ সংরক্ষণ এবং পরিবহন’-এর সুবিধাগুলি। শনিবার সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে এই ঘোষণা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এতদিন পর্যন্ত সরকারি ব্যয়ে মরদেহ সংরক্ষণ ও বাসস্থান পর্যন্ত পরিবহনের সুবিধা শুধুমাত্র জিআরইএফ কর্মীদের ক্ষেত্রেই দেওয়া হত। একই পরিস্থিতিতে কর্মরত অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিকরা এই সুবিধা থেকে এতদিন বঞ্চিত ছিল। তাদের মৃত্যু হলে পরিবহনের ভার পড়ত শোকসন্তপ্ত পরিবারের ওপর। আর্থিক সংস্থানের কারণে নিহতের পরিবারের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিমান ভাড়া এমনকি সড়কপথে যাতায়াতের খরচও বহন করার সামর্থ্য থাকত না।
সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় কোন অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিকের মৃত্যু হলে তাঁর আত্মীয় বা আইনত যাঁরা তাঁর উত্তরাধীকারী, সেইসব আত্মীয়রা শেষকৃত্য বা শেষ শ্রদ্ধা জানানোর কোন সুযোগ পেতেন না। এইসব ঠিকা শ্রমিকরাও প্রকারান্তরে জাতির জন্যই তাঁদের জীবন উৎসর্গ করে থাকেন। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বিআরও ওয়ার্কসাইটগুলি পরিদর্শন করার সময়, কঠিন কাজের পরিবেশ প্রত্যক্ষ করেছিলেন। এরপরই তিনি এই শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন।