• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মিলছে না বিয়ের আইনি স্বীকৃতি ,সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সমকামী দম্পতি 

তেলেঙ্গানা ,২৫ নভেম্বর — বিয়ের কেটে গাছে ৯টি বছর।বেশ সুখেই সংসার করছেন হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা দুই সমকামী পুরুষ সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং অভয় ডাং । তাঁরা চান আইনি পথে তাঁদের বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে।কিন্তু বিয়ে নিবন্ধনের চলতি আইনে তার সংস্থান নেই।সকল পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সামনেই বিয়ে করেছেন তারা এরপর তাঁদের বিয়ের আইনি স্বীকৃতি নেই।তাঁরা এই অধিকার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের 

তেলেঙ্গানা ,২৫ নভেম্বর — বিয়ের কেটে গাছে ৯টি বছর।বেশ সুখেই সংসার করছেন হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা দুই সমকামী পুরুষ সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং অভয় ডাং । তাঁরা চান আইনি পথে তাঁদের বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে।কিন্তু বিয়ে নিবন্ধনের চলতি আইনে তার সংস্থান নেই।সকল পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সামনেই বিয়ে করেছেন তারা এরপর তাঁদের বিয়ের আইনি স্বীকৃতি নেই।তাঁরা এই অধিকার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের  দ্বারস্থ হয়েছেন।ম্যারেজ রেজিস্ট্রারেরা ফিরিয়ে দিয়েছেন।আজ দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের অভিমত জানতে চেয়ে নোটিস জারি করল।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার এবং অ্যাটর্নি জেনারেল-সহ সরকারের শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের বক্তব্য জানতে চেয়েছে।চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে কোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট আজ বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে সমকামী বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে সমকামী দম্পতিদের দায়ের করা আরও একটি আবেদনের শুনানি করেছে।

প্রসঙ্গত,২০১৮-সালে সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে ফৌজদারী দণ্ডবিধির ৩৭৭ নন্বর ধারাটি বাতিল ঘোষণা করেছে।ওই ধারায় সমলিঙ্গের মানুষের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ বলে গণ্য করা হত।১৮৬৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের চালু করা ওই ধারা খোদ ব্রিটেন ১৯৬৭ সালে বাতিল করেছে।কিন্তু ভারতে তা বহাল ছিল। সুপ্রিম কোর্টের যে সাংবিধানিক বেঞ্চ ধারাটি বাতিল করে সেটির অন্যতম সদস্য ছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

তাৎপর্যপূর্ণ হল, সর্বোচ্চ আদালত ধারাটি বাতিল করলেও সরকার এখনও এই ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি।সংশ্লিষ্ট মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার ধারাটি বহাল রাখার পক্ষে জোরদার সওয়াল করে তখন।সুপ্রিম কোর্ট সব পক্ষের বক্তব্য শোনা পর ব্যক্তির গোপনীয়তা এবং পছন্দের অধিকারকে মান্যতা দিয়ে ধারাটি বাতিল করলেও সরকার আইনি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা কার্যকর না করায় সমলিঙ্গের বিয়ের স্বীকৃতি থমকে আছে।