• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শুধুমাত্র কাগজে কলমে থাকলেও মার্কিন অস্ত্র কার হাতে জানেই না ইউক্রেন

কিয়েভ, ২৭ আগস্ট– থামার নাম নেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। ছ’মাস অতিক্রান্ত। এই ভয়াবহ সংঘাতের প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। শক্তিশালী রুশ ফৌজকে ঠেকাতে ইউক্রেনীয় সেনাকে মুক্তহস্তে হাতিয়ারের জোগান দিচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু সেই অস্ত্র নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট উঠে এলো। আমেরিকা যে অস্ত্র পাঠাচ্ছে তা কার হাতে বা কোথায় যাচ্ছে তা জানেই না জেলেনস্কি প্রশাসন। ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের

কিয়েভ, ২৭ আগস্ট– থামার নাম নেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। ছ’মাস অতিক্রান্ত। এই ভয়াবহ সংঘাতের প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। শক্তিশালী রুশ ফৌজকে ঠেকাতে ইউক্রেনীয় সেনাকে মুক্তহস্তে হাতিয়ারের জোগান দিচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু সেই অস্ত্র নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট উঠে এলো। আমেরিকা যে অস্ত্র পাঠাচ্ছে তা কার হাতে বা কোথায় যাচ্ছে তা জানেই না জেলেনস্কি প্রশাসন।

ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মতে, আমেরিকার দেওয়া অধিকাংশ অস্ত্রেরই বর্তমান ঠিকানা জানে না ইউক্রেন সরকার। সেই অস্ত্র কোথায় এবং কার কাছে আছে তার সঠিক কোনও তথ্য নেই কিয়েভের হাতে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের ইন্সপেক্টর জেনারেল সন ও’ডনেল নাকি বলেছেন, শুধুমাত্র কাগজে কলমেই মার্কিন অস্ত্রের হিসেব রেখেছে ইউক্রেন। কিন্তু বাস্তবে সেই মিসাইল, রকেট লঞ্চার বা কামান কোথায় আছে সেই তথ্য তাদের কাছে নেই। ও’ডনেলের কথায়, “হাতে লেখা রসিদের মাধ্যমেই মার্কিন হাতিয়ারগুলির হিসাব রেখেছে ইউক্রেন। ফলে সেই সমস্ত অস্ত্র কোথায় বা কার হাতে পৌঁছেছে তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।” তিনি আরও জানান, ইরাক ও আফগানিস্তানেও একই সমস্যাআর সম্মুখীন হয়েছিল আমেরিকা।

জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ তহবিলও খতিয়ে দেখবে ইন্সপেক্টর জেনারেল সন ও’ডনেলের দপ্তর। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ, কিয়েভ ও ন্যাটি জোটের মধ্যে হওয়া গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের চুক্তিও খতিয়ে দেখা হবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের আশঙ্কা, ইউক্রেনীয় ফৌজকে দেওয়া মার্কিন অস্ত্রের কিছুটা কালোবাজারে চলে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনকে প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি তারা। লড়াইয়ে কয়েক হাজার সেনা ও বিপুল অস্ত্র খুইয়ে গত এপ্রিলে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্বে ইতি টানার কথা ঘোষণা করে মস্কো।  ইতিমধ্যে মারিওপোল দখল করে ফেলেছে রুশ ফৌজ। দোনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনের শেষ ঘাঁটি সেভেরদোনেৎস্কও দখল করেছে পুতিন বাহিনী।

—————