নিহত বছর তেতাল্লিশের ওই ব্যক্তি দুই সন্তানকে নিয়ে বাস করত। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া সে। বছর বাইশের ওই যুবক স্ন্যাকসের দোকানও চালায়। আরেকজন নাবালক। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সে। বেশ কয়েকবছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তরুণীর আলাপ হয়। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দু’জনে। তা নিয়ে দুই ছেলের তীব্র আপত্তি ছিল। প্রায়শয়ই বাবা ও ছেলেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটিও হত।
গত ১৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে ওই ব্যক্তি ঘুমোচ্ছিলেন। অভিযোগ, দুই ছেলে ঘুমন্ত বাবার উপর লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়। আঘাত করে তারা। এরপর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাট করার জন্য স্ন্যাকসের দোকানের চুল্লিতে বাবার দেহ পুড়িয়েও ফেলে দু’জনে। তারপর অস্থি ইন্দ্রায়ণী নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা।
বাবাকে খুনের পরেও থানায় নিজেরাই গিয়ে বাবার নিখোঁজ ডায়েরি করে। আর সেই নিখোঁজ ডায়েরিই যেন বিপদ ডেকে আনল তাদের। পুলিশ খোঁজখবর শুরু করে। খবর পায় ওই ব্যক্তি পরকীয়া করতেন। সেই অনুযায়ী ব্যক্তির প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, পরকীয়া নিয়ে বাড়িতে প্রায়শয়ই সমস্যা হত। এমনকী ছেলেরা খুনের হুমকিও দিয়েছিল তাঁকে। এই তথ্য পাওয়ার পর নিহতের ছেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। প্রথমে নিজেদের অপরাধ কবুল করেনি তারা। পরে যদিও পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে ওই ব্যক্তির দুই সন্তান। জানায়, বাবাকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ পুড়িয়ে ফেলে তারা। ‘দৃশ্যম’ ছবি দেখে এভাবে খুনের পরিকল্পনা বলেও স্বীকার করে তারা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১, ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।