• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

করোনা ভ্যাকসিন তৈরির পুরস্কার, চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল জয় দুই মার্কিন বিজ্ঞানীর

ওয়াশিংটন, ২ অক্টোবর-– মারণ ভাইরাস কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতেছে বিশ্ব। এবার সেই লড়াইয়ের স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটিও। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যারা সবার প্রথম সারিতে থেকে যুদ্ধ করেছিলেন তারা হলেন চিকিৎসক-বিজ্ঞানী। এমনই দুই মার্কিন বিজ্ঞানী তাদের কোভিডের থাবা থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে তাদের কঠিন পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেলেন বিশ্ব দরবারে। তারা করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বানিয়েছিলেন

ওয়াশিংটন, ২ অক্টোবর-– মারণ ভাইরাস কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতেছে বিশ্ব। এবার সেই লড়াইয়ের স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটিও। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যারা সবার প্রথম সারিতে থেকে যুদ্ধ করেছিলেন তারা হলেন চিকিৎসক-বিজ্ঞানী। এমনই দুই মার্কিন বিজ্ঞানী তাদের কোভিডের থাবা থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে তাদের কঠিন পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেলেন বিশ্ব দরবারে। তারা করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বানিয়েছিলেন কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ভ্যাকসিন । সেই অক্লান্ত পরিশ্রমের পুরস্কার হিসাবে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী। সোমবার ঘোষণা করা হয়, ২০২৩ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেয়েছেন কাটলিন কারিকো ও ড্রিউ উইজম্যান। কোভিডের বিরুদ্ধে মানবদেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করেছিলেন এই দুই মার্কিন বিজ্ঞানী।

সোমবার নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়, ২০২৩ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কার তুলে দেওয়া হচ্ছে দুই মার্কিন বিজ্ঞানীর হাতে। নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, দুই বিজ্ঞানীর গবেষণার ফলে মানবদেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে নতুন তথ্য জানা গিয়েছে। এমআরএনএ কীভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে বিক্রিয়া করে, সেই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন দুই বিজ্ঞানী। তার ফলাফল হিসাবেই দ্রুত ও ব্যাপকভাবে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ভ্যাকসিন তৈরি করা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতবার চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেয়েছিলেন সুইডেনের সান্তে প্যাবো। মানুষের বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করে এই পুরষ্কার পান তিনি। ১৯৮২ সালে চিকিৎসাক্ষেত্রে নোবেল পেয়েছিলেন তাঁর বাবা সুনে বার্গস্ট্রম। যদিও সেই সময়ে প্রশ্ন ওঠে, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেছেন নোবেল পুরষ্কার তাঁদেরই প্রাপ্য। কিন্তু নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়, একটি বিশেষ বিষয়ে গবেষণার স্বীকৃতি পেতে বহুদিন সময় লাগে। সেই কথা মাথায় রেখেই ২০২৩ সালের নোবেল তুলে দেওয়া হল করোনা ভ্যাকসিন উদ্ভাবকের হাতে।

উল্লেখ্য, নোবেল পুরস্কার জয়ী কাটলিন কারিকোর জন্ম হাঙ্গেরিতে। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা শুরু করেন। চিকিৎসায় নোবেল জিতেছেন ড্রিউ উইজম্যানও। ২০২০ সালের বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারীর সময়ে তাঁদের যৌথ গবেষণার হাত ধরেই মেলে করোনার ভ্যাকসিন। মডার্না ও ফাইজার ভ্যাকসিন তৈরি হয় তাঁদের গবেষণার ভিত্তিতেই।