কলকাতা, ২ মার্চ — মুকুল সাংমার হাত ধরে মেঘালয় বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস বড় সাফল্য পেল। ৬০ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল। পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে। ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় একক বৃহত্তম দল হয়েছে এন পিপিপি। মেঘালয়ের আঞ্চলিক এই দল পেয়েছে ২৫ টি আসন। এর পরেই আছে আর এক আঞ্চলিক দল ইউ ড পি। এই দল পেয়েছে ১১ টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস ও তৃণমূল পেয়েছে ৫টি করে আসন। বিজেপি পেয়েছে ৩ টি , এবং নির্দল জিতেছে ১০টি আসনে।
প্রায় এক দশক পরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্যে নজরকাড়া ফল করেছে মমতার দল। ২০১২ সালে মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। তারা জিতেছিল ৭টি আসনে। বাংলার বাইরে এ পর্যন্ত কোনও বিধানসভা ভোটে সেটিই তৃণমূলের সবচেয়ে ভাল ফল। মেঘালয়ে সে রেকর্ড তারা ছুঁতে পারেনি। কিন্তু ৬০ আসনের মধ্যে ৫৬টিতে লড়ে প্রায় ১৩.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে মেঘালয়ে মাত্র ০.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল।
দুই জাতীয় দল বিজেপি এবং কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে মেঘালয়ে তৃতীয় স্থানে (এনপিপি এবং ইউডিপির পর) উঠে এসেছে তৃণমূল। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ জোর দিয়ে বলছিলেন, তাঁরা মেঘালয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের চেয়ে বেশি আসন পাবেন। ফলে সে দিক দিয়েও তাঁরা ‘সফল’।
মুকুল সাংমা যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন স্পিকার চার্লস পিংরোপের মতো প্রভাবশালী বিধায়ক। তাঁরা দু’জনেই এ বার জোড়াফুল প্রতীকে প্রার্থী। গারো পাহাড় স্বশাসিত পরিষদ এলাকায় ‘প্রভাব’ রয়েছে মুকুলের। অন্য দিকে, পিংরোপ খাসি জনগোষ্ঠীর প্রভাবশালী নেতা। তবে ভোটের ফল বলছে, খাসি-জয়ন্তিয়ার ভাল ভোট পেলেও এনপিপির ‘ঘাঁটি’ গারো পাহাড়ে প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি তৃণমূল।