অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানে জেলা পরিষদ পায়নি বিজেপি। এদিকে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরেও একই পরিস্থিতি । ২০টি জেলা পরিষদের মধ্যে ২০টিতেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যে প্রায় অর্ধেক জেলা পরিষদে বিরোধীরা কোনও আসন জিততে পারেনি। তবে কোনও কোনও জেলা পরিষদে বিরোধীরা দুটো অথবা তিনটে আসনে জিতেছেন।
হাওড়ায় ৪২টি জেলা পরিষদই দখল করেছে তৃণমূল। ১৪টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৪টিই যায় শাসক দলের দখলে। ১৫৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৫২টি তৃণমূলের।
১টি পেয়েছে বিজেপি, অন্যান্যরা পেয়েছে ৪টি আসন। অনুব্রতহীন বীরভূমে জেলা পরিষদের আসনে রেকর্ড ভোটে জিতলেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। জেলা পরিষদের ১৯ নম্বর আসনের প্রার্থী কাজল বিজেপিকে ৪৪ হাজার ভোট হারিয়ে দেন। উত্তর দিনাজপুরে জেলা পরিষদের ২৬ টি আসনের ২৬টি তৃণমূলের। জলপাইগুড়িতেওঁ ২৪টি জেলা পরিষদের মধ্যে ২৪টিই তৃণমূলের দখলে।
আর কোথায় জিতেছে শাসকদল ? অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া বীরভূম, শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং অধীর চৌধুরীর মুর্শিদাবাদেও ঘাসফুলের দাপট। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা পরিষদের ৭০টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কিন্তু বাকি সব আসনে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতে বিরোধী শূন্য জেলা পরিষদ জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই ফলাফল যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বিরোধীদের ধারাবাহিক আক্রমণে অত্যন্ত চাপে ছিল শাসকদল তৃণমূল। সূত্রের খবর, চাপে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত তিনটে পর্যন্ত জেগে ছিলেন মমতা। এরপর অভিষেক তাঁকে জোর করে বিশ্রাম নিতে পাঠান। বুধবার সবুজ বাংলার ছবি দেখার পর মেলে স্বস্তি। ‘এখনকার কংগ্রেস-বামেদের দেখলে করুনা হয়, ওদের নিয়ে কিছু বলতে চাই না। ‘