হিংসাত্মক পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে বাংলায়।ঝরে গেছে বহু প্রাণ।এই পরিস্থিতিতে ফের এ রাজ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। চার সদস্যের বিজেপির ওই দলে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, সাংসদ সত্যপাল সিংহ, বিজেপির সহ সভাপতি রেখা ভার্মা ও সাংসদ রাজদীপ রায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তা ঘোষণা করার পরই মণিপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চার জন সাংসদের টিম তৈরি করে সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, চার জনের ওই সংসদীয় দলে থাকবেন ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কাকলি ঘোষদস্তিদার। আগামী ১৪ জুলাই মণিপুরে যাবেন তাঁরা। তৃণমূলের কথায়, ডবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে মণিপুরের মানুষ গত তিন মাস ধরে যে চরম হিংসা আর অশান্তির পরিবেশে দিন কাটাচ্ছেন, তাতে তাঁদের মানসিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। তাঁদের সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই মনিপুর যাবেন সাংসদরা।
মণিপুরে যাওয়ার ব্যাপারে এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে অনুমতি দেয়নি। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল মণিপুরে পৌঁছলে তাঁদের যদি সেখানে প্রশাসন ও পুলিশ বাধা দেয়, তাহলে বাংলাতেও বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, গত ৬০ দিনের বেশি সময় ধরে জাতিদাঙ্গার আগুনে পুড়ছে মণিপুর, গত দুই মাসে মৃত্যু হয়েছে ১৪২ জনের। সেদিক থেকে দৃষ্টি ফেরাতেই বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে গেরুয়া শিবির। বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা ও অশান্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে সম্ভবত সেই কারণেই কেন্দ্রীয় টিম পাঠানো হচ্ছে। তৃণমূল তা আঁচ করেই পাল্টা পদক্ষেপ করেছে। তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে মণিপুরে নিজেদের মতো করে ঘোরার হয়তো অনুমতি দেবে না সেখানকার পুলিশ বা সেনা। সম্প্রতি মণিপুরে রাহুল গান্ধির সফরের সময়েও একই কৌশল করা হয়েছিল।
মণিপুরে তৃণমূল সাংসদরা তেমন পরিস্থিতিতে পড়লে বাংলাতেও বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের গতিবিধির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে রাজ্যের পুলিশ।
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা ও অশান্তির ঘটনা নিয়ে খোঁজ নিতে দিল্লির বিজেপি যে টিম পাঠাচ্ছে তাঁরা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ,দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে।