দিল্লি, ২৭ মার্চ – বিরোধী ঐক্যের ছবি সম্পূর্ণ হল সংসদে। দূরত্ব সরিয়ে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যোগ দিল তৃণমূল। রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে কংগ্রেস সাংসদরা কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বিরোধী বৈঠকে তৃণমূলের উপস্থিতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “দেশে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে যাঁরাই এগিয়ে আসবেন, কংগ্রেস তাঁদের স্বাগত জানাবে।”
সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালীন ‘একলা চলো’ নীতি অনুসরণ করে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী দলগুলিকে একজোট করে একসঙ্গে পথ চলার কাজে নেমেছে কংগ্রেস। যদিও তার থেকে দূরত্ব রেখে চলেছে তৃণমূল। কংগ্রেসের ডাকা কোন বৈঠকেই যোগ দেননি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। আদানি ইস্যু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে সংসদে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে একলাই ধর্না দিয়েছে তৃণমূল। তবে রাহুল গান্ধির জন্যেই এবার কাছাকাছি কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সংসদ অধিবেশনের আগে কংগ্রেসের বিরোধী দলগুলির ডাকা বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ জহর সরকার ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোদি পদবি নিয়ে মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ।গত বৃহস্পতিবার সুরাট আদালত রাহুল গান্ধিকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর কারাদণ্ডের সাজা দেয়। শাস্তি হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সাংসদ পদ খোয়ান রাহুল গান্ধি। এই ঘটনার পরই প্রতিবাদে সরব হয় কংগ্রেস। পাশে দাঁড়ায় অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও। তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, বিআরএস সহ একাধিক দল রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদ জানায়। এবার সেই ঘটনার রেশ ধরেই কাছাকাছি আসতে চলেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস।
সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কংগ্রেস, বাম এবং বিজেপির বিরুদ্ধে অশুভ আঁতাত করার অভিযোগ তুলেছিলেন। রাহুলের সদস্যপদ খারিজের পর অবশ্য টুইট করে নাম না করে কংগ্রেস নেতার পাশে দাঁড়ান মমতা। সোমবার কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী বৈঠকে তৃণমূলের তরফে যোগ দেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার এবং হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।