• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মদ্যপ রেলকর্মীর গাফিলতিতে প্লাটফর্মে উঠে যায় ট্রেন, প্রকাশ্যে এল ভিডিও 

মথুরা, ২৮ সেপ্টেম্বর – উত্তরপ্রদেশের মথুরা জংশনে মঙ্গলবার রাতে একটি লোকাল ট্রেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা উঠে যায় প্লাটফর্মে। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও এভাবে প্লাটফর্মের উপর ট্রেন উঠে যাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে যায়।   কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ওই ট্রেন থামিয়ে অন্য এক জনকে

মথুরা, ২৮ সেপ্টেম্বর – উত্তরপ্রদেশের মথুরা জংশনে মঙ্গলবার রাতে একটি লোকাল ট্রেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা উঠে যায় প্লাটফর্মে। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও এভাবে প্লাটফর্মের উপর ট্রেন উঠে যাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে যায়।   কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ওই ট্রেন থামিয়ে অন্য এক জনকে কাজ বুঝিয়ে নেমে যান চালক। তিনি নামার পরই হঠাৎ ট্রেনটি চলতে শুরু করে। তার পরই সেটি  প্লাটফর্মের উপর উঠে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের মথুরা স্টেশনে তখন আতঙ্কে ছোটাছুটি পড়ে যায়।  

মঙ্গলবার লাইন ছেড়ে প্ল্যাটফর্ম ভেঙে গুঁড়িয়ে কয়েক ফুট উঁচুতে উঠে যায় একটি ট্রেন। মথুরাই শেষ গন্তব্য হওয়ায় যাত্রীরাও সবাই নেমে পড়েছিলেন। ট্রেন খালি হয়ে যাওয়ার পর চালকের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় ট্রেনটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য চালককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। দ্বিতীয় চালক ট্রেনে উঠেই থ্রটলের উপর নিজের ব্যাগ নামিয়ে রাখেন। এরপর চালকের আসনে বসে ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।  ট্রেনটি চলতে শুরু করার পরও ফোনে ব্যস্ত ছিলেন চালক। তার পর ট্রেনটি লাইন ছেড়ে সোজা প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়ে।

থ্রটলের উপর ব্যাগ রাখায় ব্যাগের চাপেই থ্রটলটি সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আর তার জেরেই এগিয়ে যায় এবং ইঞ্জিনের অনেকটা অংশ মথুরা প্ল্যাটফর্মে উঠে যায়। ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার তেজপ্রকাশ আগরওয়াল জানান, ইতিমধ্যেই শচীন-সহ মোট পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান,  কেবিনে প্রবেশের সময় শচীন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মথুরা স্টেশন ডিরেক্টর সঞ্জীব শ্রীবাস্তব জানান, যে পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়, তাঁরা প্রত্যেকেই মদ্যপ ছিলেন এবং ডিউটির সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় রেলকর্মীদের গাফিলতি প্রকাশ্যে আসে।

প্রাথমিক যে রিপোর্ট রেল কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে, সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, শচীনের দাবি, ট্রেনটি নিজে থেকেই চলতে শুরু করেছিল। আপৎকালীন ব্রেক কষে তিনি থামানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে ট্রেন রেললাইন ছেড়ে প্ল্যাটফর্মে উঠে যায়। শচীনের আরও দাবি, ট্রেনের থ্রটল সামনের দিকে হেলানো ছিল, চাবিও লাগানো ছিল। এজন্য তিনি লোকো পাইলটকেই দায়ী করেছেন। লোকো পাইলট ট্রেন চালানোর যন্ত্র চালু রেখেছিলেন।  পাল্টা লোকো পাইলট দাবি করেন যে, ট্রেন চালানেোর থ্রটল লক করে চাবি সচিনের হাতে দিয়ে গিয়েছিলেন। এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।