মাও তকমা ঘোঁচাতে কফিই প্রধান হাতিয়ার 

রায়পুর, ১৭ ফেব্রুয়ারি– কফি আর সন্ত্রাস, কোনও সম্পর্ক খুঁজে পাবেন না। কিন্তু এবার সেই সম্পর্কই বাঁধতে চলেছে সরকার। নাশকতার সঙ্গে জড়িত যুবক-যুবতীদের সমাজের মূল স্রোতের ফেরাতে এবার কফি নাকি হাতিয়ার সরকারের।

দেশের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলির মধ্যে ছত্তিশগড়ের বস্তার অন্যতম। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখানে যুবক-যুবতীদের মাও আকর্ষণের প্রধান কারণ পেটের খিদে। বেকারত্ব ও আর্থিক সংকটের জেরেই এই এলাকার যুবক-যুবতীরা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতি বদলাতে এবার কফি উৎপাদনে নজর দিল সরকার।
বস্তার জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মোট ২০ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে কফি চাষ শুরু করা হয়েছে। এই কাজে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা।
তাঁদের কফি চাষ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে এগিয়ে এসেছেন উদ্যানপালনের গবেষকরা। ছত্তিশগড় সরকারের এই প্রকল্পে রয়েছে কফি বোর্ড অফ ইন্ডিয়াও।
উদ্যানপালনের গবেষক কৃষ্ণা পাল সিং জানিয়েছেন, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে কফি উৎপাদনের জন্য বস্তারকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। মোট পাঁচ ধরনের কফির চাষ এই এলাকায় শুরু করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যারাবিকা ও রোবুস্টা প্রজাতির কফিও।
২০১৬-য় ছত্তিশগড়ে প্রথমবার কফি চাষ শুরু হয়। এখানকার কফি জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এরপর বস্তারে তা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
“মাওবাদী অধ্যুষিত এই এলাকায় কফি চাষ শুরু করা নিয়ে প্রথম থেকে সন্দিহান ছিলাম আমরা। চাষ শুরু হওয়ার পর মাও হামলা হলে কী ভাবে তা ঠেকানো যাবে, তা নিয়ে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা করা হয়। এই প্রকল্প সাফল্য পেলে গোটা এলাকার অর্থনীতি বদলে যাবে। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্প সাফল্য পেলে গোটা ছত্তিশগড়েই মাও নাশকতা উল্লেখ্যভাবে কমে যাবে।” সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন গবেষক কৃষ্ণা পাল সিং।
প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে সাফল্য পেতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ছত্তিশগড় প্রশাসন। সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বস্তারে কফি চাষ করা হচ্ছে। চাষের সঙ্গে জড়িতদের জমি ও জমির পাট্টাও দিয়েছে সরকার।