• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

তিন দিন আগে মৃত মায়ের দেহ আগলে মেয়ে,তারপর ………. 

হাওড়া , ২৮ সেপ্টেম্বর — অবিভাবকরা যেমন সন্তানের মোহ কোনোদিন ত্যাগ  করতে পারেন না। তেমনি সন্তানরাও নিজের  মা বাবাকে আগলে  ধরে রাখতে চায় আজীবন। কিন্তু নিয়তিকে খন্ডাবে সেই সাধ্য কারো নেই। তাই মৃত্যু হলো জীবনের  এমন একটা সত্য যেটা কষ্টকর হলেও মেনে নিতে হয়। কিন্তু এমন এক ঘটনা ঘটলো যেটা রবিনসন স্ট্রিট  কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটায়।সম্প্রীতি

হাওড়া , ২৮ সেপ্টেম্বর — অবিভাবকরা যেমন সন্তানের মোহ কোনোদিন ত্যাগ  করতে পারেন না। তেমনি সন্তানরাও নিজের  মা বাবাকে আগলে  ধরে রাখতে চায় আজীবন। কিন্তু নিয়তিকে খন্ডাবে সেই সাধ্য কারো নেই। তাই মৃত্যু হলো জীবনের  এমন একটা সত্য যেটা কষ্টকর হলেও মেনে নিতে হয়। কিন্তু এমন এক ঘটনা ঘটলো যেটা রবিনসন স্ট্রিট  কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটায়।সম্প্রীতি হাওড়ায়  মায়ের  মৃতদেহ  আগলে ৩ দিন ধরে বাড়িতে বসে রইলেন মেয়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার হাওড়া রামরাজাতলার নন্দীপাড়া লেনের ‘ময়ূর ভবন’ নামের একটি বাড়িতে। ওই বাড়িতে ৭৫ বছর বয়সি মায়ের সঙ্গে একাই থাকতেন ৪৮ বছর বয়সি মেয়ে সুমনা কুণ্ডু। মিনতি দেবীর স্বামী বহু বছর আগে মারা গেছেন। তাঁর এক পুত্রও রয়েছে। কিন্তু সুদীপ্ত নামের ওই ব্যক্তি মা এবং বোনকে ছেড়ে রামরাজাতলাতেই পাশের পাড়ায় আলাদাভাবে থাকেন।
জানা গেছে মিনতি দেবীর মৃত্যু হয় রবিবার ভোরবেলা। সেই মৃতদেহ আগলেই মঙ্গলবার পর্যন্ত বসেছিলেন সুমনা দেবী। বস্তুত সেই খবর প্রতিবেশীদের জানান সুমনা দেবী নিজেই। মঙ্গলবার এক প্রতিবেশীকে ডেকে তিনি হঠাৎই জানান, তাঁর মা গত হয়েছেন রবিবার। কিন্তু তিনি চান না মায়ের দাহকার্য সমাধা করা হোক। তাই মায়ের মৃতদেহের সঙ্গেই একই বাড়িতে থাকছেন তিনি। এই কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান ওই প্রতিবেশী। কালবিলম্ব না করে তিনি পাড়ার অন্যান্যদের খবর দেন। স্থানীয়রাই খবর দেয় জগাছা থানায়। বৃদ্ধার ছেলে সুদীপ্তকেও ডেকে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় জগাছা থানার পুলিশ। তারাই মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সুমনা কুণ্ডু মানসিক ভারসাম্যহীন। সেই কারণেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।