ভারত:- এবার বিশাল বড় মাপের ইস্পাত কারখানা গড়ে তুলতে চলেছে সেইল। ইস্কোর হাত ধরেই আসানসোলে শিল্পের বিকাশ এবং খনি অঞ্চল আরও সমৃদ্ধ হয়। কিন্তু বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। তাই এই কারখানা গড়ে উঠলে নতুন আশার আলো দেখবেন স্থানীয় শিক্ষিত ছেলে–মেয়েরা। সূত্রের খবর, ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে চলেছে বাংলায়। এই বিরাট কারখানায় বছরে ৪.০৮ মিলিয়ন টন ইস্পাত উৎপাদন হবে। বার্নপুরে ইস্কো কারখানার পাশেই নতুন ইউনিট গড়ে তুলতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেইলের অধীনস্থ ইস্কো কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ২.৫ মিলিয়ন টন। নতুন কারখানা গড়ে উঠলে কর্মসংস্থানও বাড়বে। সেইল সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের প্রি–ফিজিবিলিটি রিপোর্ট জমা হয়েছে। এমনকী তাতে সেইলের বোর্ড প্রিন্সিপাল ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। অগস্ট মাসেই ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা পড়েছে বোর্ডের কাছে। অত্যাধুনিক এই কারখানা পরিবেশবান্ধব হবে। কার্বন নির্গমন কমিয়ে গ্রিন স্টিল উৎপাদনের উপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, সেইলের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সুভাষ দাস বলেন, ৪.০৮মিলিয়ন টন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন স্টিল প্ল্যান্ট গড়ে উঠবে। ২০২৩ সালের শেষেই নতুন কারখানা গড়ার টেন্ডার ডাকা হবে। এই কারখানা গড়ে উঠলে নতুন আশার আলো দেখবেন স্থানীয় শিক্ষিত ছেলে–মেয়েরা। বৃহৎ শিল্প গড়ে উঠলেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেরও বিকাশ ঘটবে। সব ধরনের ব্যবসা বাড়তে থাকবে। সূত্রের খবর, অন্যদিকে আইএনটিইউসি অনুমোদিত আসানসোল আয়রন অ্যান্ড স্টিল ওয়ার্কার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হরজিৎ সিং বলেন, এমন বিরাট কারখানা হলে এলাকার সামাজিক–অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। আসানসোল শিল্পাঞ্চলে আবার শিল্পের জোয়ার আসবে। সিটু অনুমোদিত এবিকে মেটাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক শুভঙ্কর দাশগুপ্ত জানায়, নতুন কারখানা নিয়ে তাদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেছে। নতুন বিনিয়োগকে তারা স্বাগত জানাচ্ছেন।