দিল্লি, ০২ মে – ‘দ্য কেরল স্টোরিকে’ নিষিদ্ধ করার কোনও প্রয়োজনই নেই। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ৫ মে। সম্প্রতি ছবির ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে । অভিযোগ, ছবির ট্রেলারে দেখানো হয়েছে কেরলের ৩২ হাজারের বেশি মহিলাকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। তারপর তাঁদের সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএসআইএসের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। ছবিতে কেরলকে সন্ত্রাসবাদীদের ‘সেফ হেভেন’ বলেও দেখানো হয়েছে , যা সম্পূর্ণ অসত্য তথ্য বলে দাবি কংগ্রেসের। সেইজন্য ছবিটিকে ব্যান করার দাবি কংগ্রেসের তরফে। কিন্তু সুপ্রিম রায়ের পর স্বস্তি পেলেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন।
২০১৬ সালে উত্তর কেরালার ২১ জন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা থেকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি তৈরি করেছেন বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন। দাবি, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দিয়েছিল কেরালার ওই ২১ বাসিন্দা। সেই থেকে বিতর্কের সূত্রপাত।
কপিল সিব্বল জানান, যা করার তিনি করবেনই। বিচারপতি নাগারত্না জানান, আবেদনকারীদের এর জন্য আগে হাইকোর্টে যেতে হবে। সেখানেই করতে পারেবন আবেদন। যদিও আইনজীবী নিজ়াম পাশার দাবি, আর মাত্র তিনদিন পর ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে। তাই আবেদনের ঝক্কি পোহানোর মতো সময় হয়তো তাঁদের হাতে নেই। যদিও সুপ্রিম কোর্টের দাবি, এটা কোনও যুক্তিই নয়। এরকম চলতে থাকলে তো সবাই এবার সুপ্রিম কোর্টে আসতে শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, ছবি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর সাফ দাবি, কেরলের ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এই ছবি তৈরি করা হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতা তথা তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “এটা আপনাদের কেরল স্টোরি, আমাদের কেরলের স্টোরি নয়।”
এক সাক্ষাৎকারে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেন, “দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে তথ্য সংগ্রহ করে এই ছবি তৈরি করেছি। কোনও প্রযোজক পাওয়া যাচ্ছিল না। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলার পর আমার ধারণা বদলে যায় ।” প্রযোজক বিপুল শাহ বলেন, “কেরালা রাজ্যের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও রাগ নেই। কোনও অবমাননাকর বিষয়ও ছবিতে আনা হয়নি। আমরা চাই কেরালার মুখ্যমন্ত্রীও এই ছবিটি দেখুন।”
ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি এবং সিদ্ধি আদানি। ছবির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং প্রযোজকের ভূমিকায় রয়েছেন বিপুল শাহ।