রাহুলের শীতের পোশাক না পড়া নিয়ে চলছে রাজনৈতিক মহলে মস্করা

দিল্লি ,৫ জানুয়ারী — সারা ভারতে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। সবার গায়ে উঠেছে গরমের পোশাক। এর মাঝেই ভারত জোড়ো যাত্রায় সাড়া ফেলেছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির গায়ে এই শীতে গরমের পোশাক না থাকা। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র ক’দিন আগে মজা করে বলেছেন, ‘রাহুলজি’কে বোধহয় কেউ বলতেই ভুলে গেছেন যে শীত চলে এসেছে। কেউ না বললে উনি বুঝবেন কী করে!’

কিন্তু রাহুল গান্ধীর গায়ে গরম জামা নেই। ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর দিন থেকেই তাঁর গায়ে সাদা টি শার্ট।

ভারত জোড়ো যাত্রায় সাড়া ফেলেছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির গায়ে এই শীতে গরমের পোশাক না থাকা। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র ক’দিন আগে মজা করে বলেছেন, ‘রাহুলজি’কে বোধহয় কেউ বলতেই ভুলে গেছেন যে শীত চলে এসেছে। কেউ না বললে উনি বুঝবেন কী করে!’


অর্থাৎ রাহুলের বোধশক্তি লোপ পেয়েছে, বলতে চেয়েছেন মধ্যপ্রদেশের দোর্দণ্ডপ্রতাপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এবার কটাক্ষের মাত্রা চড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেছেন, ‘রাহুল গান্ধীর শীত বোধ না থাকার কারণ অনুসন্ধান জরুরি। আমরা বিজ্ঞানীদের বলেছি, রাহুলজির শরীরে ঠান্ডা বোধ না থাকার কী জীবনী শক্তি রয়েছে তা খুঁজে বের করা হোক।

রাহুল এখন উত্তরপ্রদেশে হাঁটছেন। পরশু ফের যাবেন হরিয়ানা। আগের দফায় হরিয়ানা দিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্যের বিজেপি সরকারের কৃষিমন্ত্রী রাহুলের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আপনার টি শার্টের রহস্য প্রকাশ্যে জানান। বরফে ঢাকা সীমান্তে পাহারারত আমাদের সেনাদের এই পোশাক দেওয়া যেতে পারে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে।

মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র তাঁর রাজ্যে ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালে রাহুলের উদ্দেশে আরও বলেছিলেন, ‘শরীর নিয়ে ছেলেমানুষি করবেন না। এতে ভুল বার্তা যাচ্ছে।’

 বিজেপির বেশিরভাগ নেতা রাহুলকে নিয়ে রসিকতা করা শুরু করেছেন। গেরুয়া শিবিরের কৌশল সম্ভবত নজর এড়ায়নি কংগ্রেসের। রাহুল, বোন প্রিয়ঙ্কা প্রমুখ জবাবে বিজেপিকে আক্রমণের পথে হাঁটেননি। রাহুল বলেছেন, ‘শীত বোধ নেই কে বলল। যতদিন গরম জামা না পরে চলে ততদিন এভাবে চলুক। কত মানুষেরই তো গরম পোশাক নেই। তাদের কীভাবে চলছে।’ রাহুল বোঝাতে চেয়েছেন, সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, টুপি, চাদরবিহীন অসহায় মানুষের শীত যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে পারছেন তিনি।

অন্যদিকে, প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, শীত, গরম বোধকে উপেক্ষা করার জন্য সাহস চাই। আর একজন সত্যবাদী মানুষই সাহসী হন। আমার দাদা সৎ, তাই সাহস আছে তাঁর।