• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল

দিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর – লোকসভায় দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোটে পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। দুই দশকেরও বেশি সময় পর লোকসভায় বুধবার পাশ হল এই বিল। বুধবার সন্ধ্যায় লোকসভায় ভোটাভুটি হয়।  সাংসদদের ভোট দেওয়া শেষ হলে লোকসভার অধ্যক্ষ জানান, মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৫৪ টি, বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র দুটি।  এর পর প্রথা মতো রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে

দিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর – লোকসভায় দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোটে পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। দুই দশকেরও বেশি সময় পর লোকসভায় বুধবার পাশ হল এই বিল। বুধবার সন্ধ্যায় লোকসভায় ভোটাভুটি হয়।  সাংসদদের ভোট দেওয়া শেষ হলে লোকসভার অধ্যক্ষ জানান, মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৫৪ টি, বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র দুটি।  এর পর প্রথা মতো রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে বিলটিকে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির ছাড়পত্র পেলে কার্যকর হবে মহিলাদের জন্য লোকসভা-বিধানসভায় আসন সংরক্ষণ।   

মহিলা সংরক্ষণ বিল লোকসভায় পাশ হওয়ায় লোকসভা এবং রাজ্যের বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হল। এদিন বিল নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় সোনিয়া গান্ধি , লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী জানান, তাঁরা বিলের বিপক্ষে নন।  তবে বিলের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সোনিয়া গান্ধি।  তিনি আরও বলেন, এটি আসলে রাজীব গান্ধির স্বপ্নের প্রকল্প। 
এর আগে পাঁচবার সংসদে আসে মহিলা সংরক্ষণ বিল।  কিন্তু কোনওবারই বিল পাশ হয়নি। প্রথম প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার সময় এই বিল সংসদে পেশ করা হয়।  সেই সময়  কংগ্রেস  বিরোধী আসনে ছিল। 
লোকসভায় বুধবার বিলের ওপর জবাবি ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি -সহ সরকার এবং বিরোধী পক্ষের সাংসদেরা বিতর্কে অংশ নেন। আইনমন্ত্রীর পেশ করা বিলে বলা হয়েছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে অর্থাৎ স্বাধীনতার শতবর্ষের আগে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জনের জন্য মহিলাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। সেই লক্ষ্যে ১৫ বছরের জন্য মহিলাদের জন্য লোকসভা, রাজ্যসভায় আসন সংরক্ষণের ‘সীমাবদ্ধ অনুশীলন’ চালু হচ্ছে। বিল অনুযায়ী, প্রতিটি নিবার্চনে লোকসভা এবং বিধানসভাগুলির এক তৃতীয়াংশ আসন ‘মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত’ করা হবে।