দিল্লি, ২৯ সেপ্টেম্বর – রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অনুমোদন দেওয়ার পর আইনে পরিণত হল ‘মহিলা সংরক্ষণ বিল’। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয় এই ঐতিহাসিক বিল। তারপর পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিলে সম্মতি দেওয়ার পর তা আইনে পরিণত হল । ২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই আইন মোতাবেক, এবার লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত । শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মহিলা সংরক্ষণ আইন প্রকাশ্যে আনা হয়।
মহিলা সংরক্ষণ বিলটি আইনে পরিণত হলেও এটি কার্যকর করতে কিছুটা সময় লাগবে। আইনটি কার্যকর করার আগে আদমসুমারী করা জরুরি। রাজ্যগুলির বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাস করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই বিলটি কার্যকর করতে সময় লাগবে। এই আইনটি কার্যকর করতে ২০২৯ সাল হয়ে যেতে পারে বলে আগেই জানিয়েছেন সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার পর্যন্ত সংসদের বিশেষ অধিবেশন হয়। ৫ দিনের এই বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন পুরানো সংসদ ভবনে শেষবারের মতো অধিবেশন বসে। দ্বিতীয় দিন পুরানো সংসদ ভবনকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানিয়ে নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করা হয়। এরপর অধিবেশনের তৃতীয় দিন লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয় এবং চতুর্থ দিন রাজ্যসভায় এই বিল পাশ হয় । সব বিরোধী দল এই বিলকে সমর্থন করলেও শুধু এআইএমআইএম মহিলা সংরক্ষণ বিলের বিরোধিতা করে জানায় , এই বিল শুধুমাত্র হিন্দু মহিলাদের ক্ষেত্রে উন্নতির কারণ হবে। কারণ মুসলিম প্রতিনিধিদের জন্য কোন সোরোক্ষনের উল্লেখ নেই। কংগ্রেসও এই বিলে ওবিসি সংরক্ষণের কথা বলে। অবশেষে সেই বিলটি সংশোধন করে এবং ওবিসিদের জন্য পৃথক সংরক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করে বিলটি পাশ করা হয় । রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মেলার পর আইনে পরিণত হল মহিলা সংরক্ষণ বিল।