ওয়াশিংটন,১১ ফেব্রুয়ারি — রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মেটাতে ভারতের ভূমিকাকে স্বাগত জানালেন হোয়াইট হাউসের সিকিওরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে রাজি করাতে পারেন। শুক্রবার তিনি বলেন, “আমার মনে হয় যুদ্ধ থামানোর জন্য পুতিনের হাতে এখনও সময় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী রাজি করাতেই পারেন। ইউক্রেনে শত্রুতা শেষ করতে যা প্রচেষ্টাই করা হোক না কেন, আমেরিকা স্বাগত জানাবে।মোদি কথা বলতে বা অন্য যে কোনও ধরনের প্রয়াস করতে চাইলে আমরা তা করতে দেব”। পাশাপাশি ইউক্রেনের মানুষের দুর্দশার জন্য একমাত্র রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনই দায়ী বলেও তোপ দাগেন তিনি।
২০২২-এর ফেব্রুয়ারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পেরিয়ে গেলেও মীমাংসার নিষ্পত্তি হয়নি। গত এক বছর ধরে উভয়পক্ষই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে চলেছে। ইউক্রেনের ভূখণ্ডে একের পর এক হামলা চালিয়ে গেছে রাশিয়া। ইউক্রেনও এই লড়াই অব্যাহত রেখেছে। এই যুদ্ধে ইতি টানতে একাধিকবার গোল টেবিলে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করলেও স্থায়ী মীমাংসাসূত্র মেলেনি। বিক্ষিপ্ত হামলা জারি রেখেছে দুই দেশই। এই দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা সংঘর্ষে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত কিয়েভ-সহ গোটা ইউক্রেন। সশুধু তাই নয়, এই যুদ্ধের প্রভাব গোটা বিশ্বেই পড়েছে । এই আবহে রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটাতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পুতিনকে রাজি করাতে পারেন একমাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আরও বলেন, “আমরা যদি ভাবি আজই যুদ্ধ শেষ হতে পারে…তাহলে সেটা আজই শেষ হবে।” প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বৈঠকের পর ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এ কথা জানানো হলেও আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু বলা হয়নি। এই পরিস্থিতিতেই ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থামাতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পদক্ষেপের কথা বললেন কিরবি।
কিরবি আরও বলেছেন, “ইউক্রেনের পরিস্থিতির জন্য দায়ী ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ইচ্ছে করলে এখনই বন্ধ করতে পারেন। তা না করে তিনি বিভিন্ন শক্তি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে ইউক্রেনের বাসিন্দারা আগের থেকে আরও বেশি কষ্ট পান।” প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিকবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর জন্য মোদিকেই কাণ্ডারি ভেবে নিয়ে তাঁর ভূমিকাকে স্বাগত জানাল আমেরিকা।