• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মঙ্গলবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রবিপ্রণাম

কলকাতা , ৯ মে  –  ২৫ বৈশাখ , রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিন শুরু করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সকালে ১১টা নাগাদ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পৌঁছে যান শাহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সকলে। ঠাকুরবাড়ির প্রাঙ্গণে কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন অমিত শাহ। এরপর ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করেন তিনি । একে বঙ্গ সফর, তার উপর

কলকাতা , ৯ মে  –  ২৫ বৈশাখ , রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিন শুরু করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সকালে ১১টা নাগাদ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পৌঁছে যান শাহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সকলে। ঠাকুরবাড়ির প্রাঙ্গণে কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন অমিত শাহ। এরপর ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করেন তিনি ।

একে বঙ্গ সফর, তার উপর বিশ্বকবির জন্মজয়ন্তী পালন। এই দুইয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরনে এদিন ছিল সাদা পাজামা-পাঞ্জাবির উপর লাল রঙের জ্যাকেট, বাটিক ও কাঁথাস্টিচের উত্তরীয়। পোশাকে ছিল বাঙালি সাবেকিয়ানা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন  সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, নিশীথ প্রামাণিক, দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পলের মতো বঙ্গ বিজেপির নেতানেত্রীরা . সকলেই এদিন ঠাকুরবাড়ির অনুষ্ঠানে অমিত শাহকে সঙ্গ দেন।

কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান করে প্রণাম জানানোর পর ঠাকুরবাড়ি ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গ্যালারিতে থাকা বিভিন্ন ছবি দেখে তার বর্ণনা খুঁটিয়ে পড়েন শাহ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম সময় এবং তিথি নক্ষত্র থেকে শুরু করে কবিগুরু সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চান। ঘুরে দেখার পর জোড়াসাঁকো থেকে বাড়িয়ে যান অমিত শাহ। এর পরের গন্তব্য পেট্রাপল সীমান্ত। সেখানেও একগুচ্ছ কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

তবে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে অমিত শাহর এই কর্মসূচিকে সহজভাবে গ্রহণ করেনি তৃণমূল। এদিন তৃণমূল ভবনে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। শ্রদ্ধা জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক দেবাশিস কুমার-সহ অনেকেই। অমিত শাহকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ”চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বাঙালিকে কাছে টানার চেষ্টা। তবে রবীন্দ্রনাথকে ভোটের কাজে ব্যবহার করলে হবে না। তাঁর আদর্শ বুঝতে হবে। সেই পথে চলতে হবে। তবেই প্রকৃত অর্থে রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।” তাঁর মতে, ‘‘রবীন্দ্রনাথ সবাইকে এক হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। আর এরা বিভাজনের রাজনীতি করে।’’

গত এপ্রিলে রাজ্য সফরে এসে লোকসভা ভোট বাংলা থেকে ৩৫টি আসনে বিজেপিকে জেতানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের সেই লক্ষ্য নিয়েই মঙ্গলবার কটাক্ষ করেন ফিরহাদ। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সেই লক্ষ্য বেঁধে দেওয়ার পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৪০টি আসনে তৃণমূলকে জেতানোর ডাক দিয়েছেন।
গত বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে শোনা গেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-সহ বাংলার অন্যান্য মনীষীর নাম। প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গেছিল রবীন্দ্রনাথের কবিতাও। আর কয়েক মাস পরেই  রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মঙ্গলবার ২৫ বৈশাখে জোড়াসাঁকোয় ঘুরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিকেলে সায়েন্স সিটিতে রবীন্দ্রসন্ধ্যারও আয়োজন করেছে বিজেপি। সেখানেও উপস্থিত থাকবেন শাহ।