• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

২০ হাজার কোটি টাকার করের বোঝা পাকজনতার শিয়রে   

ইসলামাবাদ ,৩০ জানুয়ারী — মোট ২০ হাজার কোটি টাকার করের বোঝা চাপতে চলেছে পাকিস্তানের আমিজনতার কাঁধে।একেই লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির জেরে জেরবার সাধারণ মানুষ। এরপর আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সাধারণ মানুষের কাঁধে বিপুল করের বোঝা চাপাতে চলেছে পাক প্রশাসন। প্রায় ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা পাক অর্থনীতিকে বাঁচাতে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কিন্তু

ইসলামাবাদ ,৩০ জানুয়ারী — মোট ২০ হাজার কোটি টাকার করের বোঝা চাপতে চলেছে পাকিস্তানের আমিজনতার কাঁধে।একেই লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির জেরে জেরবার সাধারণ মানুষ। এরপর আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সাধারণ মানুষের কাঁধে বিপুল করের বোঝা চাপাতে চলেছে পাক প্রশাসন। প্রায় ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা পাক অর্থনীতিকে বাঁচাতে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের তরফে বেশ কয়েকটি কঠিন শর্ত দেওয়া হয়। কঠিন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে তা মানতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।আর তার জেরেই মোট ২০ হাজার কোটি টাকার করের বোঝা চাপতে চলেছে পাক জনতার কাঁধে।

পাক সংবাদপত্র সূত্রে খবর, ২টি অর্ডিন্যান্সের খসড়া তৈরি করেছে পাক প্রশাসন। মূলত ব্যবসার উপর ১০ হাজার কোটি টাকার কর বসানো হতে পারে। এছাড়াও বন্যা ত্রাণের জন্য বরাদ্দ তহবিলে কর বসানো হবে। বিদ্যুৎ খরচের ছাড় বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গ্যাস ও বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হবে ।
গত কয়েক মাস ধরেই মুদ্রাস্ফীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল অমিল। আটার বস্তার দাম ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫০ টাকা। লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ৫০ টাকা বেড়েছে। লিটারেপ্রতি ডিজেলের দাম  বেড়েছে ৩৫ টাকা। রাওয়ালপিন্ডিতে একটি মুরগির খামারে ৫০ হাজার মুরগি চুরি হয়েছে।এই পরিস্থিতিতে দেশের মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রস্তাবে রাজি হতে হয় পাক প্রধানমন্ত্রীকে ।
সূত্রের খবর , ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানে আসবে আইএমেফের প্রতিনিধিদল । ঋণের শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা হবে. এর আগে কয়েকমাস ধরে ঋণের প্রস্তাব নিয়ে মতান্তর হয় পাকিস্তান ও আইএমএফের মধ্যে। কারণ মূল্যবৃদ্ধির নাকাল মানুষের উপরে কর বসালে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়বেন শাহবাজ শরিফ। তবে দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রস্তাবে রাজি হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না পাক প্রধানমন্ত্রীর। তবে বর্তমানের দুঃসহ পরিস্থিতিতে করের বোঝা কোন জাদুতে সামাল দেবেন পাকজনতা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ।