সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার পর্যবেক্ষণে বলে, ‘নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়। নির্বাচন ও হিংসা একসঙ্গে চলতে পারে না। রাজ্যে ২০১৩ ও ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গন্ডগোলের উদাহরণ আছে। প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারছেন না। করলেও হিংসার সম্মুখীন হচ্ছেন।’
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, ‘নির্বাচন ঘোষণার পরের দিনই হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে। মনোনয়ন পর্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কেন্দ্রের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।’
কিন্তু তারপরও কি হিংসার ঘটনা আটকানো গেছে, কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যে কোনওরকম অশান্তি হবে, সেটা কাম্য নয়। হাইকোর্ট যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে, তাতে অসুবিধার কিছুদেখছি না।’
প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে শুনানি চলার পর বিচারপতি নাগরত্ন বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে, তার কোনও যৌক্তিকতা রয়েছে বলে আদালত মনে করছে না। তাই তা খারিজ করে দেওয়া হল। কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে সেটাই বহাল থাকবে।