• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বিবিসিকে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট 

দিল্লি ,১০ ফেব্রুয়ারি — প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নিয়ে হিন্দু সেনার মামলা খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। দেশে বিবিসির সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চের তরফে শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হয় , ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে এই মামলা

দিল্লি ,১০ ফেব্রুয়ারি — প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নিয়ে হিন্দু সেনার মামলা খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। দেশে বিবিসির সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চের তরফে শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হয় , ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে এই মামলা করা.আদালত সেন্সরশিপ জারি করতে পারে না।আবেদনকারীদের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ এরপরও তাঁদের আবেদন শোনার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন। কিন্তু, আদালত তা শুনতে চায়নি। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, “আর সময় নষ্ট করার মানে হয় না। রিট পিটিশনটি পুরোপুরি ভুল ধারণার ভিত্তিতে করা। মামলাটি শুনানির যোগ্যই নয়। তাই এটি খারিজ করে দেওয়া হল।”

হিন্দু সেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্তা এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন।আবেদনকারীদের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ সুপ্রিম কোর্টের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, এই তথ্যচিত্রে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভারতের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। তিনি বলেন , বিবিসি বরাবরই ভারত এবং ভারত সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে। বিশ্বে বর্তমানে ভারত এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর অবূতপূর্ব উত্থান ঘটছে।  ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চন’ তথ্যচিত্রটি এর বিরুদ্ধে বিবিসির ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি।বিবিসি-কে নিষিদ্ধ করার নির্দেশের পাশাপাশি বিবিসির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও চেয়েছিল হিন্দু সেনা। কিন্তু, আদালত মামলাটি শুনতেই চায়নি। এদিন সেটি খারিজ করার সময় সুপ্রিম কোর্টেরবেঞ্চ বলে, ”কী করে একটি তথ্যচিত্র দেশে প্রভাব ফেলতে পারে?”

বিবিসির এই তথ্যচিত্র ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা এবং সেই দাঙ্গায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে তৈরি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্যচিত্রকে নিষিদ্ধ না করা হলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্যচিত্রের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই তথ্যচিত্রকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং ঔপনিবেশিক মনোভাবাপন্ন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৭৫ সালে এমার্জেন্সির সময় ভারতে বিবিসিকে নিষিদ্ধ করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু এবার সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল মামলা।