মণিপুর নিয়ে কড়া অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের 

দিল্লি, ২০ জুলাই –  মণিপুরের ঘটনায় কড়া অবস্থান নিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সরকার ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্ট নিজে থেকে পদক্ষেপ করবে বলে জানান দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। আদালত জানায় , ‘আমরা সামান্য সময় সরকারকে দিচ্ছি৷ সেই সময়ের মধ্যে সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে৷ নয়তো  আমাদের এই গোটা বিষয়টির মধ্যে ঢুকতে হবে৷’  অভিযোগ, ৪ মে ঘটনাটি ঘটেছিল। দুই তরুণীকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানো হয়। বুধবার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।  এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। 

বুধবার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে৷ সেখানে দেখা যায়, মণিপুরের দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানো হচ্ছে৷ তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে৷ জনজাতির মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্ত, অস্থির রয়েছে মনিপুর।  তার মধ্যে এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় কার্যত গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন৷

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়  বলেন, ‘ গতকাল মণিপুরের যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেটি দেখে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷ সময় এসেছে, সরকার যেন এখনই দ্রুত ও সদর্থক পদক্ষেপ করে৷ এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়৷’


পাশাপাশি, আদালতের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, ‘আমরা সামান্য সময় সরকারকে দিচ্ছি৷ সেই সময়ের মধ্যে আদালতকে পদক্ষেপ করতে হবে৷ না করলে আমাদের এই গোটা বিষয়টির মধ্যে ঢুকতে হবে৷’ আদালতের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সরকারকে এমন পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে৷ আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ‘কে বলতে পারে, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নাকি এমনই ঘটনা ঘটে থাকে৷’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ক্ষেত্রে নারীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা সংবিধান লঙ্ঘনের সবথেকে মারাত্মক নিদর্শন।’  ঘটনা নিয়ে সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার ফের এই বিষয়ে শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এবং মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং কি ব্যবস্থা নিলেন তা জানাতে হবে শীর্ষ আদালতে, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি দি ওয়াই চন্দ্রচূড়।  

ছবিটি গত ৪ মে তোলা বলে দাবি মণিপুর পুলিশের। থৌবল জেলায় নংপোক সেকমাই থানার অদূরে ওই দুই মহিলার উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। যদিও একটি সংগঠনের দাবি, ঘটনাটি কংগোকপি জেলার। বিরোধীদের দাবি, ঘটনার কয়েক দিন পরেই এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।