মথুরা, ১৫ ডিসেম্বর – উত্তরপ্রদেশের মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদ নিয়ে সমীক্ষার দাবিতে সায় দিল এবার সুপ্রিম কোর্টও। বৃহস্পতিবারই ওই দাবিতে সায় দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন, বিষ্ণুশঙ্কর জৈন, প্রভাস পাণ্ডে এবং দেবকী নন্দন মথুরার শাহি ঈদগাহকে ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি’ বলে চিহ্নিত করে সেখানে জমি মাপজোক এবং বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার দাবি তুলেছিলেন। যার বিরোধিতা করেছিল মুসলিম পক্ষ। আদালতে দাবি করা হয়েছিল, মসজিদের ১৩ একর জমিই শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি। সেখানেই ছিল মূল মন্দির।
শুনানি শেষের পর গত ১৬ নভেম্বর রায় সংরক্ষিত রেখেছিল বিচারপতি মায়াঙ্ক কুমারের নেতৃত্বাধীন এলাহাবাদ হাই কোর্টের বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার সেই রায় ঘোষিত হয়। বিচারপতি মায়াঙ্ক নির্দেশ দেন, এক জন কোর্ট কমিশনারের পর্যবেক্ষণে সমীক্ষার কাজ করতে হবে শাহি ইদগাহের বিতর্কিত ১৩.৩৭ একর জমিতে। কোর্ট কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানি হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়েও একই ধরনের সমীক্ষা গত বছর শেষ হয়েছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে সেখানে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের কাজ করছে এএসআই। চলতি মাসের শেষে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার কথা।
মুসলিম পক্ষ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়ে বলে ১৯৯১ সালের প্রোটেকশন অফ প্লেসেস অফ ওরশিপ আইন অনুযায়ী কোনও ধর্মীয় স্থানের কাঠামো, রূপ বদল করা যাবে না। ১৯৪৭ এর ১৫ অগাস্ট যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থাতেই রাখতে হবে। হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট বলে, কাঠামো বদলের অনুমতি আদালত দিচ্ছে না। তবে ওই আসনে ইতিহাস পুনরুদ্ধারে বাধা নেই। হিন্দু পক্ষের দাবি সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখা যেতেই পারে। অনেকেই আদালতের রায়ে উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন, হিন্দু পক্ষের দাবি সত্য প্রমাণিত হলে তখন মসজিদ ভেঙে মন্দির করার দাবি ওঠা অসম্ভব নয়।