• facebook
  • twitter
Saturday, 21 December, 2024

এক অক্লান্ত যোদ্ধার কাহিনী

লন্ডন,২৮ ফেব্রুয়ারি — অটিজম এর পাহাড় পেরিয়ে কেমব্রিজের অধ্যাপক জেসন আরডে ।  লন্ডনের বাসিন্দা জেসন আরডে লিখতে পড়তে শিখেছেন সাবালক হওয়ার পর। কথা বলা শিখতে পেরিয়ে গেছে ১১ টা বছর। কারণ জেসন ছিলেন অটিজম-এ আক্রান্ত। শৈশব থেকেই তাঁকে নানারকম শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে। সব লড়াই অতিক্রম করার পর ৩৭ বছর বয়সে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক

লন্ডন,২৮ ফেব্রুয়ারি — অটিজম এর পাহাড় পেরিয়ে কেমব্রিজের অধ্যাপক জেসন আরডে ।

 লন্ডনের বাসিন্দা জেসন আরডে লিখতে পড়তে শিখেছেন সাবালক হওয়ার পর। কথা বলা শিখতে পেরিয়ে গেছে ১১ টা বছর। কারণ জেসন ছিলেন অটিজম-এ আক্রান্ত। শৈশব থেকেই তাঁকে নানারকম শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে। সব লড়াই অতিক্রম করার পর ৩৭ বছর বয়সে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এক দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সাফল্যের সোপানে পা রাখেন জেসন আরডে।

১৮ বছর বয়স পর্যন্ত লিখতে-পড়তে অক্ষম ছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ক্ল্যাফামের বাসিন্দা জেসন আরডে। কথা ফোটে ১১ বছর বয়সের পর। তিনিই এখন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। অটিজ়ম আক্রান্ত হওয়ায় জেসনের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ অনেক দেরিতে ঘটে । বহু বয়স পর্যন্ত তিনি সঠিকভাবে কথাও বলতে পারতেন না। জেসনের শৈশবে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁকে বাড়িতে প্রচুর নিয়মকানুনের মধ্যে দিয়ে বড় হতে হবে। কিন্তু তা মেনে নিতে অস্বীকার করেন জেসন। তাঁর নিজের ঘরের দেওয়ালে তিনি লিখে রেখেছিলেন তাঁর জীবনের লক্ষ্য। তিনি লেখেন,  ‘আমি অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজে কাজ করতে চাই।’ শৈশবের সেই স্বপ্ন লড়াই করার শক্তি জুগিয়েছে। ৩৭ বছর বয়সে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।

শিক্ষাগত যোগ্যতায়  জেসন ২টি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ‘ইউনিভার্সিটি অফ সারে’ থেকে শারীরশিক্ষা নিয়েও ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৬ সালে ‘লিভারপুল জন মুরস’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডির গবেষণা শেষ করেন। ২০১৮-তে তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় এবং গ্লাসগোর ‘স্কুল অব এডুকেশন’ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়ার পর ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক হন।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেসন জানান, নেলসন ম্যান্ডেলার জেল থেকে মুক্তি এবং ১৯৯৫ সালে রাগবি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় তাঁর মনে গভীর ভাবে দাগ কেটেছিল।