অরিন্দম ভট্টাচার্য
‘আঁধি’ শব্দটি হিন্দি শব্দ আন্ধেরা থেকে এসেছে। আবার তাকে ধুলোর ঝড় বলা হয়। সে যাই হোক , নাটকের সূত্রপাত হয় আদর্শবাদী শিক্ষক সত্যভূষণ এর বিপথগামী ছেলে মন্টু এক বর্ষণ মুখর রাতে স্কুলের ভিতর এক মহিলাকে নিয়ে গিয়ে রেপ করে। ঘটনাক্রমে সেই স্কুলের শিক্ষক মন্টুর বাবা সত্যভূষণ। একজন রেপ কেসের আসামি মন্টু কোন এক রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য হওয়ার ফলে তাকে বাঁচানোর রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চলে । অন্যদিকে নিজের ছেলের প্রতি দুর্বলতাকে চাপা দিয়ে এই ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে গর্জে ওঠে সমাজের আদর্শবাদী শিক্ষক সত্যভূষণ । সে চায় দোষী শাস্তি পাক। সাংঘাতিকভাবে ভিতর এবং বাইরের দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে সত্যভূষণ চরিত্রটি নাটকের যবনিকা টেনেছে। নাট্যকার তাপস মুখোপাধ্যায়ের নাটক আঁধি পাঁচথুপি উদয়ন নাট্য সংস্থার নাট্য উৎসবে দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে যারা অভিনয় করেছেন সত্য ভূষণ – উজ্জ্বল সাহা, শান্তি লতা – শ্যামলী শী, মনি – সঞ্চিতা সাহা, মন্টু -সোমনাথ চন্দ্র, পুলিশ অফিসার- দেবর্ষি ঘোষ, এবং হরি বাবুর চরিত্রে মাধবেন্দ্র সিনহা। নাটকটির আবহ, পরিকল্পনা – প্রয়োগ, আলো ও মেক আপ করেছেন বিশ্বজিৎ দত্ত, সুজয় দাস ও দেবব্রত দাস। নির্দেশনায় ছিলেন উজ্জ্বল সাহা ।