সুরাট, ১৭ ডিসেম্বর – বিশ্বের বৃহত্তম অফিস কমপ্লেক্সের তকমা পেল সুরাট ডায়মন্ড বোর্স। এতদিন এই তকমা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতর পেন্টাগনের। ৮২ বছর পর সেই তকমা ছিনিয়ে নিল সুরাট ডায়মন্ড বোর্স। গুজরাটের এই অফিসটি রবিবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক হিরে এবং গয়নার ব্যবসার জন্য বিশ্বের বৃহত্তম এবং আধুনিক কেন্দ্র হবে এই সুরাট ডায়মন্ড বোর্স। ৬৭ লক্ষ বর্গফুটেরও বেশি এলাকাবিশিষ্ট গগণচুম্বী এই অফিসেই এবার থেকে হীরে শিল্পের সঙ্গে জড়িত যাবতীয় সংস্থার অফিস বসবে। কর্মসংস্থান হবে প্রায় দেড় লাখেরও বেশি কর্মীর।
সুরাট শহরের কাছে খাজদ গ্রামে এই সুরাট ডায়মন্ড বোর্স অবস্থিত। সুরাট ডায়মন্ড বোর্স তৈরি করতে মোট খরচ পড়েছে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। বিশ্বের বৃহত্তম এই অফিসে মোট দেড় লাখ কর্মীর চাকরি হবে বলে জানা গিয়েছে। ‘ওয়ার্ল্ড বিগেস্ট ওয়ার্কস্পেস’
রবিবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ কর্মক্ষেত্র এবার ভারতে।
গুজরাটের এই অফিস প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘গত ৮০ বছর ধরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অফিস ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন। কিন্তু সেই তকমা এবার ভারতের ঝুলিতে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ অফিস এবার সুরাট ডায়মন্ড বোর্স। সুরাটের হীরে শিল্পের বহুমুখী দিক এবং উন্নয়ন তুলে ধরছে এটি। ভারতের বাণিজ্যিক মানসিকতারও পরিচয় এই কর্মক্ষেত্র। বাণিজ্য, উদ্ভাবন এবং সংযুক্তির কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠবে এই সুরাট ডায়মন্ড বোর্স। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর অবদান থাকবে। এই কর্মক্ষেত্র আরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরী করবে ।’
শুধু আমদানি- রপ্তানি নয় , খুচরো গয়নার ব্যবসার জন্য জেবেলেরি শপিং মল এবং আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং ও নিরাপদ ভল্টেরও সুবিধে থাকবে। ৬৭ লক্ষ বর্গফুট ফ্লোর স্পেস-সহ এটি এখন বিশ্বের বৃহত্তম অফিস বিল্ডিং , যেখানে হিরে বিক্রির প্রায় ৪ হাজার ৫০০ টি অফিস রয়েছে। সুরাট ডায়মন্ড বোর্স-এ প্রায় ৩৫ একর জমির উপর নির্মিত ১৫ তলা বিল্ডিংয়ে ৯টি টাওয়ার রয়েছে।
মুম্বই থেকে হীরে ব্যবসা এবার সুরাটের এই অফিসেই স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। হিরের মতোই উজ্জ্বল সুরাট শিল্পাঞ্চল। বিশ্বের ৯০ শতাংশ হিরে তৈরির কাজ হয় গুজরাটের এই শহরেই। ফলে সুরাটকে বলা হয় হিরে ব্যবসার ওয়ান স্টপ ডেস্টিনেশন। আগামীদিনে সুরাটের এই গগণচুম্বী অফিসটি হতে চলেছে হিরে ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু।