বেঙ্গালুরুতে এশিয়ার সবচেয়ে বড় বিমান প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

 কর্ণাটক ,১৩ ফেব্রুয়ারি — “বেঙ্গালুরুর আকাশ নতুন ভারতের শক্তির সাক্ষী থাকছে। গোটা বিশ্বের আস্থা বাড়ছে ভারতের উপরে “। বেঙ্গালুরুতে ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩’-এর সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বললেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে দেশ। আগে আধুনিক অস্ত্র আমদানি করা হত বিদেশ থেকে, বর্তমানে ভারতেই তৈরি হচ্ছে সমরাস্ত্র “। এশিয়ার সব চেয়ে বড় বিমান প্রদর্শনী চলছে কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । ৯৮টি দেশ এই প্রদর্শনীতে যোগ দেয়। মূলত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান প্রদর্শনীর জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এ বার এই প্রদর্শনী চতুর্দশতম পর্বে পড়ল।

২০২৩ সালে এই প্রদর্শনীর থিম হচ্ছে ‘কোটি কোটি সম্ভাবনার রানওয়ে’। বায়ুসেনার চিফ এয়ার মার্শাল ভিআর চৌধুরী এই বিমান প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।  আমেরিকার তরফে এক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এলিজাবেথ জোনস। বেঙ্গালুরুর এই প্রদর্শনীর সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ শক্তিতে ভারত আবারও এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছল।”  তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে অসংখ্য দেশের উপস্থিতি প্রমাণ করছে ভারতের উপরে বিশ্বের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য দিয়ে মোদি জানান এবারের অ্যারো ইন্ডিয়ায় বিভিন্ন দেশের ৭০০-র বেশি প্রতিনিধি যোগ দিয়েছে, যা বিগত বছরগুলির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শুধু প্রতিরক্ষায় নয়, বাণিজ্য ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর উঠছে ভারত।” ২০২৩ সালেই কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন। এই আবহে মোদী জোর দেন দেশের ‘আত্মনির্ভরতা’ এবং ‘শক্তি’র ওপর।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র ও মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে দেশের শক্তিকে তুলে ধরতে বেঙ্গালুরুর ইলাহানকা এয়ারবেসে পাঁচদিন ব্যাপী অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩-র আয়োজন হয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই প্রমুখ।  প্রসঙ্গত অ্যারো ইন্ডিয়ার এই মঞ্চ থেকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রায় ২৫১টি মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৭৫ হাজার কোটি কাছাকাছি পৌঁছতে পারে।