দরিদ্ররাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় জাতি : প্রধানমন্ত্রী  

দিল্লি, ৩০ নভেম্বর – জাতিগত জনগণনা নিয়ে যখন দেশে রাজ্য রাজনীতি সরগরম, তখন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বৃহস্পতিবার বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা প্রকল্পের উদ্বোধনে বলেন, গরিবরাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতি। যুবসমাজ, মহিলারা , কৃষকরা – এই জাতিগুলোই ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জাতিগত জনগণনা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহল তোলপাড়। একাধিক রাজ্যে ক্ষমতায় এলে জাতিগত জনগণনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। তার মধ্যেই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।

বৃহস্পতিবার বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার কাছে দরিদ্ররাই সবচেয়ে বড় জাতি। যুবসমাজ, মহিলা, কৃষকরাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় জাতি। এই চার জাতির উন্নতি হলে ভারতেরও উন্নতি হবে। এই চার অমৃত স্তম্ভের উপরেই নির্ভর করছে বিকশিত ভারতের সংকল্প। সেই চারটি স্তম্ভ হল, আমাদের নারীশক্তি, যুবশক্তি, কৃষক ও দরিদ্র পরিবার।”
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এর সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথাও বলেন। দুটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন মোদি। কম দামে উন্নতমানের ওষুধ সরবরাহ করতে বাড়ানো হবে জন ঔষধি কেন্দ্রের সংখ্যা। ২৫ হাজারটি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে গোটা দেশে। এদিন এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। 

একইসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী মহিলা কিষাণ ড্রোন কেন্দ্রগুলোও উদ্বোধন করেন মোদি। দেশজুড়ে ১৫ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে ড্রোন তুলে দেওয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ থেকেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ড্রোন দেওয়া শুরু হবে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের মধ্যেই ১৫ হাজার গোষ্ঠীর হাতে পৌঁছে যাবে ড্রোনগুলো। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, কৃষিক্ষেত্রে নানা সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া যাবে এই ড্রোনের মাধ্যমে। চাষের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম পাঠানো ছাড়াও অন্যান্য কাজে এই ড্রোন ব্যবহার করতে পারে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো। পাশাপাশি ড্রোন ওড়ানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও বিভিন্ন কাজে যাতে ড্রোন ব্যবহার করতে পারেন সে জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ড্রোন প্রশিক্ষণের বিষয়টি এ বছরের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই উল্লেখ করেছিলেন মোদি। 

কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই এই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নভেম্বর মাস থেকে এই যাত্রার সূচনা করা হয়। গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে এই যাত্রা।