পাটনা, ২৮ সেপ্টেম্বর– দীপাবলি আলো কি আধার ঘনিয়ে আনতে চলেছে বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদবের জীবনে। লিজ দুর্নীতি মামলায় তেজস্বীর জামিন প্রত্যাহার করার আর্জি নিয়ে দিল্লির সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। বুধবার সেই মামলায় তেজস্বীকে ১৮ অক্টোবর দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট।
লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালে রেলের হোটেল বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দেওয়াতে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় নাম রয়েছে তেজস্বীর। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করেছে তদন্তকারী সংস্থা। বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী জামিনে মুক্ত আছেন।
তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই বিজেপি নেতা সুশীল মোদি বলছিলেন, কয়েক দিনের মামলা। তেজস্বীকে অচিরেই জেলের ভাত খেতে হবে।
প্রসঙ্গত, পুরনো মামলার জেরে নীতীশ কুমারের নয়া জোট সরকারের দুই মন্ত্রীর একজনকে জেলে যেতে হয়েছে। একজন পদত্যাগ করেছেন।
তেজস্বীর বিরুদ্ধে সিবিআই মামলা করেছে দিল্লির আদালতে। আজ বিশেষ সিবিআই আদালত তেজস্বীকে ১৮ অক্টোবর হাজির হতে বলেছে আদালতে। এর পাঁচদিন পর দীপাবলি। এই নির্দেশে স্বভাবতই আরজেডি পরিবারে বিষাদের ছায়া।
ওই দিন ঠিক হতে পারে লালুপ্রসাদের পুত্রের জামিন বহাল থাকবে নাকি তাঁকে জেলে যেতে হবে। জেল হলে থাকতে হবে দিল্লির তিহারে।
দিল্লির আদালতে তারা বলেছে, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী এক মাস আগে সিবিআই অফিসারদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বিহারে আরজেডি নেতাদের বাড়িতে সিবিআই হানা দিলে তেজস্বী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, সিবিআই অফিসারদের কী পরিবার-পরিজন নেই! তাঁরা কি রিটায়ার করবেন না! চিরকাল সিবিআইতে চাকরি করবেন? যখন চাকরি থাকবে না তখন কী দশা হবে আপনাদের?