• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

যাদবপুরের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নয়া তথ্যপ্রমাণ পেল পুলিশ  

কলকাতা, ১৯ আগস্ট – যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক তথ্য।    র‌্যাগিংয়ের কারণেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে কিনা এর কিনারা করতে গিয়ে কিছু তথ্যপ্রমাণ হাতে পেযেছে কলকাতা পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে উদ্ধার হয়েছে নীল রঙের হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জি। ওই বারান্দা সংলগ্ন ৬৮ নম্বর ঘরে

কলকাতা, ১৯ আগস্ট – যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক তথ্য।   
র‌্যাগিংয়ের কারণেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে কিনা এর কিনারা করতে গিয়ে কিছু তথ্যপ্রমাণ হাতে পেযেছে কলকাতা পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে উদ্ধার হয়েছে নীল রঙের হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জি। ওই বারান্দা সংলগ্ন ৬৮ নম্বর ঘরে থাকতেন বাংলার প্রথম বর্ষের ছাত্রটি। লালবাজার সূত্রে খবর, ওই পোশাকগুলি মৃত ছাত্রের বলে দাবি করেছেন এক পড়ুয়া। অর্থনীতি বিভাগের ওই পড়ুয়ার এই বক্তব্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।  ওই ছাত্রের উপর র‌্যাগিংয়ের যে অভিযোগ উঠছে, সেক্ষেত্রে এই পোশাক তার গুরুত্বপূর্ণ  তথ্যপ্রমাণ হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। অন্য দিকে, হস্টেলের এ ১ এবং এ ২ ব্লকের মধ্যে আরও একটি গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়েছে, যেটিতে রক্তের দাগ মিলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর মেন হস্টেলের ৬৮ নম্বর ঘরে থাকছিলেন প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া। ধৃত ছাত্র মনোতোষের ‘গেস্ট’ হিসেবে ওই ঘরে থাকতেন তিনি। মৃত ছাত্রের ব্যাগেও জামাকাপড় গোছানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তা হলে কী ভাবে বারান্দার  কোণে ওই পোশাকগুলি পাওয়া গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পোশাকগুলি আদৌ ওই মৃত ছাত্রের কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত ৯ অগস্ট রাতে নদিয়ার বাসিন্দা ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র করানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে মানসিক নির্যাতনের বর্ণনা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। বিবস্ত্র অবস্থায় ছাত্রকে উদ্ধারের পরই র‌্যাগিং-এর অভিযোগ জোরালো হয়। হস্টেলের তিন তলার যে ঘরে ওই ছাত্র থাকতেন, সেই তলার বারান্দা থেকেই পাওয়া যায় হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জি। ওই পোশাক মৃত ছাত্রের বলে দাবি করেছেন এক পড়ুয়া। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, বারান্দায় ছাত্রের পোশাক কেন পড়েছিল ? তা হলে কি তাকে বিবস্ত্র করা হয়েছিল? নাকি ওই ছাত্র  ‘মানসিক চাপে’ নিজেই বিবস্ত্র হন? যদি ছাত্র বাথরুম যাওয়ার জন্য পোশাক খোলেন, তা হলে তা বাথরুমেই থাকার কথা। । র‌্যাগিং হয়েছিল কি না, নির্যাতন হলে তা কী ভাবে হয়েছিল, সে ব্যাপারেও দিশা মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যে হেতু হস্টেলে সিসিটিভি ছিল না, তাই বয়ান এখানে গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই অর্থনীতির পড়ুয়ার ওই বয়ানের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি, মৃত ছাত্রের তিনটি ব্যাগও উদ্ধার করা হয়েছে।