দিল্লি, ১২ নভেম্বর – প্রতি বছরের মতো এবারেও সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করতে সীমান্তে পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, ২০১৪ সালের দীপাবলি উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি গিয়েছিলেন সিয়াচেনের সেনা ঘাঁটিতে। তারপর থেকে প্রতি বছরই কোন না কোন সেনা ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করেছেন তিনি। তবে, এদিন তিনি জানিয়েছেন, দীপাবলি সীমান্ত এলাকার সেনা ঘাঁটিতে কাটানো তাঁর কাছে নতুন নয়। গত ৩০-৩৫ বছর ধরে তিনি এটাই করে আসছেন। রবিবার হিমাচল প্রদেশের লেপচা থেকে তিনি বলেন, ”যতদিন সীমান্তে আমাদের সেনা হিমালয়ের মতো স্থির ও দৃঢ়ভাবে রয়েছে ততদিন ভারতও সুরক্ষিত থাকবে।”
তিনি এদিন বলেন, সীমান্তে হিমালয়ের মতো জওয়ানরা প্রহরায় আছেন। দেশ গঠনে সেনাদের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে একের পর এক যুদ্ধ তাঁরা অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন এবং কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক শান্তি অভিযানে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত দ্রুত আন্তর্জাতিক শক্তিধর দেশ হিসেবে উঠে আসছে। শুধু নিজেরই নয়, বর্তমানে মিত্র দেশগুলির প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের চাহিদাও পূরণ করছে ভারত। ২০১৬ সালের দীপাবলির সময় থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি ৮ গুণ বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। মোদি এদিন বলেন, বর্তমানে দেশেই ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি হচ্ছে।
গত ৩০-৩৫ বছর ধরে তিনি সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গেই দীপাবলি পালন করেন, একথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের দিওয়ালিতে তিনি ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের নৌশেরা সেক্টরে। ২০১৯ সালে রাজৌরি জেলা ও ২০১৮ সালে উত্তরাখণ্ডে উৎসব পালন করতে দেখা গিয়েছিল মোদিকে।
রবিবার, ১২ নভেম্বর দীপাবলির দিন, সেই রীতি মেনে তিনি হিমাচল প্রদেশের লেপচায় অবস্থিত সেনা ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করেছেন। এদিন সেনাদের সামনে বক্তব্য় রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি প্রতি বছর আমাদের সেনা কর্মীদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করি। কথায় বলে, যেখানে ভগবান রাম থাকেন, সেই জায়গাই হল অযোধ্যা। আমার কাছে, ভারতীয় সেনা কর্মীরা যেখানে থাকেন, সেই জায়গা কোনও মন্দিরের থেকে কম কিছু নয়।”