গত ২৮ মে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার পদে মেয়াদ শেষ হয় সৌরভ দাসের। নিয়মমাফিক পরবর্তী কমিশনারের প্রস্তাবিত নাম রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছিল নবান্ন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা-র নাম সুপারিশ করেছিল নবান্ন। কিন্তু তাতে অনুমোদন দেননি রাজ্যপাল। তারপর থেকেই নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়।
একক নামে ছাড়পত্র দিতে রাজ্যপাল সম্মত না থাকায় নবান্নকে আরও নাম পাঠানোর কথা বলে রাজভবন। রাজভবনের বার্তা মেনে নবান্ন দ্বিতীয় নামও সুপারিশ করে। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদমর্যাদার অফিসার অজিতরঞ্জন বর্ধনের নাম প্রস্তাব করা হয় নবান্নের তরফে। সূত্রের খবর, এরপরে আবার তৃতীয় নাম চেয়ে পাঠায় রাজভবন। কিন্তু নবান্নের তরফে জানানো হয়, তৃতীয় নাম পাঠানোর প্রস্তাব রাজ্য মানবে না। অবশেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজীবের নামেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর।
রাজীব এর আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে তাঁকে রাজ্যে শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বার সেই পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে বসানো হল।
এদিকে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হতে পারে, সে ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা সবটাই সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে হবে। বুধবার রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে এমনটাই জানালেন রাজীব সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার সব জানে।’’ তাঁর দাবি, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ রাজ্য সরকারই স্থির করে। নির্ধারিত তারিখ জেনে তা ঘোষণা করে কমিশন। কমিশনের মূল দায়িত্ব সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করানো, নির্বাচনের দিন নির্ধারণ নয়। তাই পঞ্চায়েত ভোট কবে, তা সরকারই বলবে। আমাদের কাজ নিয়ম মেনে নির্বাচন করানো।’’ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ইতিহাস শান্তিপূর্ণ নয়। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করানোকে রাজীব চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন ? সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর জবাব , ‘‘আপনাদের কাছে চ্যালেঞ্জ মনে হতে পারে। আমার কাছে এটা কাজ ছাড়া আর কিছু নয়।’’