দিল্লি, ১৮ জানুয়ারি– নির্বাচনী বন্ডের টাকাতেও এগিয়ে বিজেপি। বেশির ভাগ ব্যক্তি ও সংস্থা বন্ড কিনে বিজেপিকে অর্থ সাহায্য করেছে। লাভের গুড় বিজেপি খেলেও ভাগ্যে কিছুই জোটেনি কংগ্রেস সহ বিরোধীদের।
আবার যে ছিটেফোঁটা বিরোধী শিবিরে জুটেছে তাতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের প্রাপ্য অর্থের মধ্যে ফারাক মাত্র দুই শতাংশের। যদিও আসল হিসেবে বা আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে তৃণমূলই সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
রাজনৈতিক দলগুলিতে কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়া দেশে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকাশে রাজনৈতিক দলগুলিকে অর্থ সাহায্য করে থাকে।
২০১৮ সালে চালু হয় নির্বাচনী বন্ড থেকে আয়ের নয়া ব্যবস্থা। যে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে নির্বাচনী বন্ড কিনে রাজনৈতিক দলগুলিকে অর্থ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে দাদা সংস্থা এবং ব্যক্তির নাম গোপন রাখা হয়।
নির্বাচনী বন্ড মারফৎ এভাবে টাকা তোলা যায় কিনা তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গুচ্ছ মামলা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা।
অন্যদিকে, বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া কোম্পানিগুলি বিজেপিকে দু হাত ভরে টাকা দিচ্ছে।
প্রথম বছর থেকেই বিজেপি এই খাতে অর্থ উপার্জনের দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে আছে। সদ্য প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত চার বছরে বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের ৫০ শতাংশের বেশি পেয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ড বাবদ ব্যাংকগুলিতে জমা অর্থের পরিবার ছিল ৯২০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৫২৭০ কোটি।
কংগ্রেস এই চার বছরে পেয়েছে বিজেপির তুলনায় অনেক কম। তাদের প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ ৯৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ দশ শতাংশের কাছাকাছি।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরে জমা পড়েছে ৭৬৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট জমা অর্থের সাত শতাংশ। কংগ্রেসের তুলনায় দুই শতাংশ কম।
লক্ষণীয় হল, বাংলায় ভোটের বছর অর্থাৎ ২০২১- এ জোড়া ফুলের তহবিলে বন্ড থেকে জমা পড়েছিল মাত্র ৪২ কোটি টাকা। পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ -এ তারা পেয়েছে ৫২৮ কোটি টাকা।