• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

এগরা বিস্ফোরণের হোতা ভানু বাগ ওড়িশায় পুলিশের জালে 

কলকাতা, ১৮ মে– এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। তল্লাশিতে নেমেই পুলিশ জানতে পেরেছিল যে ভানু পরিবার-সহ পড়শি রাজ্য ওড়িশায় পালিয়েছে। সেই মতোই সেখানে গিয়ে খোঁজ শুরু হয়। তারপরেই জানা যায়, কটকের এক হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে সেই অভিযুক্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভানুর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এদিকে এরমধ্যেই পুলিশের হাতে

কলকাতা, ১৮ মে–

গরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। তল্লাশিতে নেমেই পুলিশ জানতে পেরেছিল যে ভানু পরিবার-সহ পড়শি রাজ্য ওড়িশায় পালিয়েছে।

সেই মতোই সেখানে গিয়ে খোঁজ শুরু হয়। তারপরেই জানা যায়, কটকের এক হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে সেই অভিযুক্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভানুর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।

এদিকে এরমধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ভানুর ছেলে ও ভাইপো। তাঁর ছেলের নাম পৃথ্বীজিৎ বাগ। তবে ভাইপো নাবালক হওয়ার কারণে তার নাম প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ।

পুলিশ ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া ভানুর কারখানাটি নাকি বেআইনি ছিল। কিন্তু এক-দু বছর নয়, গত ৩০ বছর ধরেই নাকি এই বেআইনি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। বাজি ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। রংমশাল, তুবড়ি, ছুঁচোবাজি, রকেট, হাউই, গাছবোমা, সবই নাকি ভানুর হাতের কারসাজিতে কথা বলত।

৩ দশক আগে যখন ভানু প্রথম বাজির ব্যবসা শুরু করে, তখনও নাকি বিস্ফোরণ ঘটেছে একাধিকবার। এমনকী, ৫ বছর আগে বাড়ির ওই কারখানাতেই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ভানুর ভাই এবং তাঁর স্ত্রীর। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ১৯৯৫ সালে ভানু বাগের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজনের। পরবর্তীতে আবারও বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু বাজি বানানোর মোহ এমনই ছিল ভানুর যে, ব্যবসার সুবিধার্থে রাজনীতির আড়ালে আশ্রয় নেয় ভানু ওরফে কৃষ্ণপদ।