• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আমন্ত্রণপত্র বিতর্কিত নৈশভোজের মধুরেন সমাপয়েৎ 

দিল্লি, ১০, সেপ্টেম্বর –   জি-২০ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত নৈশভোজের আসর ছিল নক্ষত্রখচিত। বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা সবাই উপস্থিত। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সাড়ম্বর উপস্থিতি। তারও মাঝে নজর কাড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি–২০ সম্মেলনে হাসিনা–মমতার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা ছিলই।  দেখা তো হল, কথাও হল দু’‌জনের মধ্যে। একে অপরকে আমন্ত্রণ জানালেন আন্তরিক হৃদ্যতায়।    শনিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির

দিল্লি, ১০, সেপ্টেম্বর –   জি-২০ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত নৈশভোজের আসর ছিল নক্ষত্রখচিত। বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা সবাই উপস্থিত। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সাড়ম্বর উপস্থিতি। তারও মাঝে নজর কাড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি–২০ সম্মেলনে হাসিনা–মমতার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা ছিলই।  দেখা তো হল, কথাও হল দু’‌জনের মধ্যে। একে অপরকে আমন্ত্রণ জানালেন আন্তরিক হৃদ্যতায়। 
 
শনিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপমে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নৈশভোজে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল। এই নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নৈশভোজে যাওয়ার জন্য সংসদ ভবন থেকে ভলভো বাসে করে প্রগতি ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয় সকলকে। ওই বাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর–সহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন বলে সূত্রের খবর। রাতে আবার একইভাবে বাসে সবাই ফেরেন । এই যাত্রাপথে অনেকের সঙ্গেই কথা হয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তবে তা ছিল নেহাৎই  সৌজন্য বিনিময়।
অন্যদিকে ভারত মণ্ডপমের নৈশভোজে পৌঁছতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মো্দি।  হাত দেখিয়ে এগিয়ে দেন নৈশভোজের টেবিলের দিকে। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একে অপরকে দেখে সৌজন্য বিনিময় হয়। আর তখনই শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌সময় পেলে একবার কলকাতায় আসুন। অনেক কথা হবে।’‌ পাল্টা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও শেখ হাসিনা বলেন, ‘‌আপনিও একবার ঢাকায় আসুন। খুব ভাল লাগবে।’‌  
এই নৈশভোজের টেবিলে শেখ হাসিনা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও যোগ দেন নৈশভোজে।  বিভিন্ন টোবিলের নামকরণ হয়েছিল নদীমাতৃক দেশের নামে, গঙ্গা, যমুনা, ব্রহ্মপূত্র, কৃষ্ণা। হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে একই টেবিলে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। একই টেবিলে গল্পে মশগুল ছিলেন তিনজন। হেমন্ত সোরেনকে দেখা যায় সেই টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতে। অন্যদিকে, মমতার সঙ্গেই একি ফ্রেমে দেখা যায় কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে। 
অন্যদিকে যে সকল বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা এই গালা ডিনারে অনুপস্থিত, তাঁরা হলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ‘নো ফ্লাইং জোন’-এর যুক্তি দিয়ে নৈশভোজ এড়িয়ে যান ভূপেশ বাঘেল। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীদের দিল্লিতে বিমান ধরায় কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না।
এদিকে, রাজ্যসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে জি২০-র নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এই বিতর্কের জেরে ভারত মণ্ডপমে নৈশভোজে যোগ দেননি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরা।