শ্রমিকদের উদ্ধার করতে ৩২০ মিটার ট্র্যাক তৈরী করছে ভারতীয় সেনা
SNS
উত্তরকাশী, ১৯ নভেম্বর – উত্তরকাশীর টানেলে আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে এবার হাত লাগাল ভারতীয় সেনা। শ্রমিকদের দ্রুত উদ্ধার করতে ৩২০ মিটার ট্র্যাক নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় সেনাদের। টানেলের ভিতরে উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগে কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। তাঁদের এখন একটাই প্রশ্ন, কখন তাদের উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসা হবে। টানেলের বাইরে থাকা উদ্ধারকারীরা শ্রমিকদের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলেছেন ঠিকই, কিন্তু উদ্ধার প্রক্রিয়া নিয়ে রুদ্ধশ্বাস আতঙ্ক চেপে বসেছে তাঁদের মধ্যে। উদ্ধারকারীদের কাছে শ্রমিকদের আর্জি, তাঁদের যেন দ্রুত উদ্ধার করা হয়।
মেজর নামান নারুলা জানান, ‘ ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সিল্কইয়ারা টানেল উদ্ধার অভিযানে নামানো হয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় একটি ট্র্যাক তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলেই ড্রিলিং শুরু করা হবে। ভারতীয় সেনার ১৫০ জন এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। ৩২০ মিটারের একটি ট্র্যাক তৈরী করা হবে। তারপর ৮০ থেকে ১২০ মিটার ড্রিল করা দরকার। আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করব। আগামিকাল সকাল ৯টার মধ্যে ট্র্যাক নির্মাণের কাজ শেষ হবে। যেখানেই মাঝখানে গাছ আসবে আমরা সেগুলি কেটে ফেলব।’ তিনি জানান, এই কাজ কিছুটা এগোলে শ্রমিকদের খাবার এবং জল সরবরাহ করাও সহজ হবে।
সাত দিন পেরিয়ে আট দিন চলছে , কিন্তু এখনও উদ্ধার করা যায়নি উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪০ জন শ্রমিককে। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু সম্প্যের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে চলেছে আশঙ্কা আর উদ্বেগ। উদ্বেগ বাড়ছে শ্রমিকদের পরিবারগুলির। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ভিতরের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। তাদের একটাই প্রশ্ন , কখন তাদের উদ্ধার করা হবে। উদ্ধারকারী আধিকারিক জানিয়েছেন,খনন কাজ কেমন চলছে, উদ্ধারকারী দল তাঁদের কতটা কাছে পৌঁছতে পেরেছেন, কী ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে জানতে চায় শ্রমিকরা। শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে তিনি জানান, তাঁদের উদ্ধারের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। দু’ভাবে রাস্তা বার করার চেষ্টা চলছে।
উত্তরকাশীর এক আধিকারিক জানান, আড়াআড়িভাবে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর পাশাপাশি লম্বালম্বিভাবেও পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তার জন্য ড্রিল করে গর্ত তৈরী করা হবে। তার গভীরতা হবে ৩০০ থেকে ৩৫০ ফুট। কিন্তু এখনও সময়ের অপেক্ষা। উদ্ধারকারীদের দিকে এখন তাকিয়ে আছে গোটা দেশ।