কলকাতা, ০৩ মে – বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবারই সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃত বিজেপি নেতার পরিবার। বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে । বিশেষ দল গঠন করে ময়নাতদন্ত করবে কমান্ড হাসপাতাল। রাজ্যের ২ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকতে পারবেন। পরিবার চাইলে ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকতে পারেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবার এবং ময়না থানাকে দেবে কমান্ড হাসপাতাল। এই মামলায় প্রথম ৭২ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ বলেও মতপ্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। সূত্রের খবর, তমলুক থেকে দেহ কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। বুধবার বিকেল ৪ টের পর কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা ।এই নিয়ে কোনও আপত্তি জানায়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারেও তারা প্রস্তুত ।
দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশে খুশি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আরও একবার আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য। এই নির্দেশের ফলে অপরাধীদের ধরতে সুবিধা হবে। পুলিশ তার কর্তব্য পালন করতে পারেনি।’ পুলিশ সুপারের অপসারণ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেই আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, খুন হচ্ছে কেন? শুধু ময়না নয়, এরকম ঘটনা সব জায়গায় ঘটছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুইয়াঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সোমবার বিজয়কৃষ্ণকে অপহরণ করা হয় এবং পরে তাঁকে খুন করা হয়। গোটা ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাতভর বিজেপির নেতা-কর্মীরা ময়না থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। মঙ্গলবার সকাল থেকেও ময়না বাইপাসের ধারে গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতারা লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ করেন। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বুধবার ১২ ঘণ্টা ময়না বন্ধের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।